প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫২ পিএম আপডেট: ১৯.০১.২০২১ ১:১৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ওয়াজ
মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি
পবিত্র কোরআন ও সহীহ (বিশুদ্ধ) হাদিসের রেফারেন্স দেওয়া বাধ্যতামূলক করে
বক্তৃতা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে সরকারের
সংশ্লিষ্টদের প্রতি। সেই সঙ্গে প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত
ছাত্র-ছাত্রীদের পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থসমূহের অনুবাদ পড়ানো
বাধ্যতামূলক করারও দাবি জানানো হয়েছে নোটিসে। যাতে কাল্পনিক গল্প ও
বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শুনে যুবসমাজ উগ্রবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে
প্রভাবিত না হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান গতকাল সোমবার
এই লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব,
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে নোটিসে
বিবাদী করা হয়েছে। নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নোটিস পাওয়ার ৩০ দিনের
মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অন্যথায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ চেয়ে
হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে। নোটিসে বলা হয়, অনেক পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত
হয়েছে আলেম বা ধর্ম প্রচারকদের ওপর। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো যে,
আমাদের আলেমগণ অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা ও ওয়াজ মাহফিলে
বিভিন্ন কাল্পনিক বক্তব্য, গালগল্প ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন- ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে
জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে এসব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য।
এতে আরো বলা
হয়, বহুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে- বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা, ওয়াজ মাহফিলে আমাদের
আলেমগণ কোরআন ও হাদীসের যথাযথ রেফারেন্স উল্লেখ না করে নিজেদের মনগড়া
বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাদের
আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে।
নোটিসে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধানের ২(ক) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের
রাষ্ট্রধর্ম যেহেতু ইসলাম, সেহেতু এই ইসলাম ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা এবং
ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে প্রচার করা সরকারের অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সুতরাং এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক যাতে- দেশের আলেম তথা ধর্মীয়
বক্তারা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় পবিত্র কোরআন ও সহীহ
হাদীসের রেফারেন্স উল্লেখ করেন এবং রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেন।
অন্যদিকে, দেশের যুবসমাজ যাতে কাল্পনিক গল্প ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শুনে
উগ্রবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িয়ে না পড়ে- সেজন্য শিক্ষা ব্যবস্থার সব
পর্যায়ে অর্থাৎ প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পবিত্র কোরআন ও সহীহ
হাদীসের অনুবাদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করতে হবে।