প্রকাশ: রোববার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, জনদরদী, সমাজসেবক মরহুম কাঞ্চন মুন্সীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার। ১৯৪৯ সালের ৪ জানুয়ারি তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামের মানুষের সেবায় আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন কাঞ্চন মুন্সী। কামারগ্রামকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী, যা এখনও আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। পাশাপাশি তিনি কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল, ঈদগাহ, কবরস্থান স্থাপনসহ বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কাঞ্চন মুন্সীর প্রপৌত্র দৈনিক ঢাকা টাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর-১ আসন তথা আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর সাধারণ মানুষের কল্যানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি নিয়মকানুন মেনে সমাজসেবাকে সাংগঠনিক কাঠামোতে রূপ দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি করোনাকালেও তাদের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময় কয়েক দফায় অসহায়, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষের দুয়ারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দানে সরকারি তহবিলেও আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে।
কৃতী মানুষ কাঞ্চন মুন্সীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানামুখী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী ও কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হবে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, কামারগ্রামকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে প্রয়াত কাঞ্চন মুন্সী সাহেব উপজেলার মধ্যে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী। যা এখনও আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। এই বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশোনা করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়েছেন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী প্রতিবছরই নানা কর্মসূচিতে পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১১ টায় একাডেমি মিলনায়তনে স্মরণসভা ও তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামের মানুষের সেবায় আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন কাঞ্চন মুন্সী। কৃতী এই মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকীতে উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হবে এবং কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে তাঁর স্মরণে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।