প্রকাশ: রোববার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৩৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের ‘এক নম্বর হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড’ হিসেবে স্যামসাং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলো দিলো বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।এর মধ্য দিয়ে দেশের ‘এক নম্বর হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড’ হিসেবে হ্যাটট্রিক করলো স্যামসাং। ব্র্যান্ডের উৎকর্ষ এবং গ্রাহকদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণের কারণে গতকাল ব্র্যান্ডফেস্টের মাধ্যমে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্যামসাংকে সম্মানসূচক এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। চলতি বছর, অধিকাংশ বড় ও ভারী শিল্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতি স্মার্টফোন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। কেননা, শ্রম শক্তি, উৎপাদন, সরবরাহ শৃঙ্খল (সাপ্লাই চেইন) ব্যাহত হওয়ার কারণে গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন ও নতুন নতুন বাজার তৈরি প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এত সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও চলমান পরিস্থিতিতে স্যামসাংয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছ; বিশেষ করে, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছে। ২০১৯ সালে নিজেদের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে স্যামসাং। উদ্ভাবনী ফিচার, দীর্ঘস্থায়ীত্ব, ক্রেতাদের উন্নত সেবা প্রদান ও সাশ্রয়ের কারণে বাংলাদেশের ক্রেতাদের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই ব্র্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়। বাজারে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের হ্যান্ডসেট নিয়ে আসছে স্যামসাং, যা বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণির ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করছে। এ কারণেই ২০১৮ সাল থেকে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার স্যামসাংকে ‘এক নম্বর হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। উল্লেখ্য, বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসন দেশব্যাপী জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম অ্যাওয়ার্ডের জন্য বাংলাদেশের টপ ব্র্যান্ডগুলোকে নির্বাচন করে। এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব মোবাইল মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, ‘পুরনোকে পেছনে ফেলে সব সময় নতুন কিছু করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সম্মানিত ক্রেতাদের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েই আমরা বৈশ্বিক মহামারির কঠিন সময় অতিক্রম করতে পেরেছি; এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সব সময়ই বাজারে নতুন পণ্য নিয়ে আসার ক্ষেত্রে মানদ- বজায় রেখেছি; যার স্বীকৃতিস্বরূপই আমাদের এ অর্জন। আমাদের এই সম্মানে ভূষিত করার জন্য বাংলাদেশে ব্র্যান্ড ফোরামেকে ধন্যবাদ জানাই; পাশাপাশি, আমাদের সাথে থাকার জন্য ক্রেতা, অংশীদার, কর্মী ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা।’