প্রকাশ: রোববার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১:০৪ পিএম আপডেট: ০৩.০১.২০২১ ১:১৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারি
চিনিকলের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সুগার মিলস চিল্ড্রেন্স ফোরাম
(এসএমসিএফ)। বন্ধ না করে, দুর্নীতি দূর করে কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করলে
চিনিকল লাভজনক করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তারা। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের
সামনে ১৬টি চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারী ও আখচাষীদের ছেলে-মেয়েরা ‘সুগার মিলস
চিল্ড্রেন্স ফোরাম’ সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনে গতকাল শনিবার এসব কথা
বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গুটি কয়েকজনের দুর্নীতি আর
অব্যবস্থাপনা দায়ী সরকারি চিনিকলগুলোর লোকসানের জন্য। হাজার হাজার সাধারণ
শ্রমিক আর আখ চাষীদের ওপর এখন এর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক চাহিদা
থাকা সত্বেও সরকারি চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে আখচাষী, শ্রমিক ও
কর্মচারীদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। আখ চাষীদের ভবিষ্যতে আখ উৎপাদনে
নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সুগার মিলস চিল্ড্রেন্স ফোরামের নেতৃবৃন্দ জানান,
করোনাকালে বিভিন্ন সেক্টরে সরকার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিলেও চিনি
শ্রমিকদের মাসের পর মাস বেতন দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এর ফলে অত্যন্ত শোচনীয়ভাবে
তারা দিন কাটাচ্ছে। তারা আরো জানান, চিনিশিল্প আধুনিকায়নের কথা মুখে বলেও
এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দুটি চিনিকল আধুনিকায়ন করার জন্য দুটি প্রকল্প
হাতে নেওয়া হলো। তারপর সাত বছর কেটে গেলো। কয়েকটি গাড়ি কেনা ছাড়া প্রকল্পের
আর কোনো কাজ হয়নি। অথচ এর দায় বহন করতে হচ্ছে হাজার হাজার আখচাষি আর
শ্রমিক কর্মচারীদের। নেতারা জানান, সরকার তার বিভিন্ন সেক্টরের কয়েক হাজার
কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করেছে এবং খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুবিধা দিয়েছে।
বিএডিসি, বিমান ও রেলেসহ বিভিন্ন সংস্থায় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে
আসছে। সে তুলনায় চিনি শিল্পের ভর্তুকির পরিমাণ অত্যন্ত কম। অথচ, এ শিল্পে
মূল্যসংযোজন একশতভাগ। টেকসই উন্নয়নের সরকারি নীতির সঙ্গে চিনি শিল্পের
উন্নয়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই চিনিকলগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে প্রত্যন্ত
অঞ্চলের অর্থ সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে। দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে
চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করার জন্য দক্ষ ও
দুর্নীতিমুক্ত বিনিয়োগের দাবি জানান তারা।