রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রায়গঞ্জ পৌর নির্বাচন :আ.লীগ ঐক্যবদ্ধ, মাঠে নেই বিএনপি
এম এ মালেক, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশ: রোববার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৭ পিএম আপডেট: ০৩.০১.২০২১ ১:১৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ


আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে রায়গঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে এখন ভোটারদের মধ্যে সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নির্বাচন সামনে রেখে মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোটার এবং সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। রায়গঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে রয়েছে। তবে মাঠে দেখা নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের। তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পৌর নির্বাচন। এবারে এ পৌর সভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৬৭ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ৬ হাজার ১০৫ জন ও পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৭৬২ জন। ৪ জন মেয়র, ১১ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৯টি ওয়ার্ডে ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুল্লাহ আল পাঠান নৌকা, বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ধানের শীষ, স্বতন্ত্র মোশাররফ হোসেন মোবাইল ফোন ও জাতীয় পার্টির আনোয়ার হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত রায়গঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ফের নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। এদিকে নৌকা মার্কা বিজয়ের জন্য প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন নব-নির্বাচিত উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (হৃদয়)। তিনি সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। সব মিলে এবার নির্বাচনে মূলত এককভাবে মাঠ দখল করে আছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত দুটি  নির্বাচনের একটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পাঠান বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মাঠে তেমন প্রচার প্রচারণা নেই। দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার অভিযানে নেই দলীয় নেতাকর্মীরাও। ফলে এখানে বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এক রকম একলা চল নীতি নিয়ে নির্বাচনে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্য দিকে বসে নেই সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচনে জয় হওয়ার জন্য অভিনব কৌশলে তারা ভোট প্রার্থনা করছেন। আগের অপারগতার জন্য ক্ষমা চাইছেন। কেউবা নতুন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের। কোথাওবা ‘মুরব্বি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রার্থীদের মধ্যে ‘জামাই’ ভাব চলে এসেছে। কেউবা সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা ও টুপি মাথায় অতিভদ্র আচরণ করছেন। পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে এখন ‘দোয়া চাই’ পোস্টারে ছেয়ে গেছে, নতুন ধরনের কথা দিয়ে বিচিত্র পোস্টার ছাপানো হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, মামলা হামলার ভয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা এলাকাছাড়া রয়েছেন। বিএনপির কিছু নেতাকর্মী এলাকায় থাকলেও তারা ভয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার সাহস পাচ্ছে না। তবে নির্বাচন স্বচ্ছ হলে বিপুল ভোটে বিজয় হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন এ প্রার্থী। প্রচ- শীতকে উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনাসহ প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি ফেস্টুন ব্যানারে প্রচার ও খ- খ- ভাবে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের সিদ্ধান্তেই তিনি মেয়র প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান তিনি। ভোট দেয়ার সুযোগ দিলে তিনিই বিজয় হবেন বলে মনে করেন সাধারণ ভোটারা। অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে আনোয়ার হোসেন অংশগ্রহণ করলেও ভোটারদের তেমন ঘা ঘেষতে পারছেন না।
আ.লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল পাঠান বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ই আগষ্ট রায়গঞ্জ পৌর সভা গঠিত হওয়ার পর ২০১১ সালে প্রথম বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় পৌরসভার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে গত পাঁচ বছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে বহু রাস্তাঘাট, ড্রেন নির্মাণ, স্ট্রিট লাইট স্থাপনসহ রায়গঞ্জ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। একই সঙ্গে মেয়র হয়েই তৃতীয় শ্রেণির পৌর সভাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি। করোনায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। এবার যদি আমি বিজয় হতে পারি পৌরসভার বাকি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করবো। সাধারণ ওর্য়াডের কাউন্সির এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের প্রচারনায় বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে পৌরসভা। নিজ নিজ প্রার্থীর সুনাম মাইকের গানে গানে বলে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চলছে প্রার্থীদের। এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, রায়গঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১ টি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।




« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]