প্রকাশ: রোববার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৭ পিএম আপডেট: ০৩.০১.২০২১ ১:১৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রথমার্ধের শেষ দিকে মোহামেডান স্পোর্টিং সমতার স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেও ম্যাচের ভাগ্য গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানেও নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে মোহামেডানকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে হারায় সাইফ। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ২-২ সমতায়। পাঁচ শটের টাইব্রেকারে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইকেচুকু কেনেথ, শাহেদুল আলম শাহেদ, জন ওকোলি, এমানুয়েল আরিয়াচুকু লক্ষ্যভেদ করেন। ক্রসবারে মেরে হতাশ করে ইয়াসিন আরাফাত। মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে, উরু নাগাতা, হাবিবুর রহমান সোহাগ, মোহাম্মদ মিঠু জাল খুঁজে পান; দ্বিতীয় শটে মিস করেন আমিনুর রহমান সজীব। সাডেন ডেথে কৌলিদিয়াতি, আমির হাকিম বাপ্পী লক্ষ্যভেদ করেন। আতিকুজ্জামান মারেন বাইরে। রহিম উদ্দিন, রহমত মিয়া জাল খুঁজে পাওয়ার পর উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার সিরোজুদ্দিন রাভমাতুল্লায়েভের লক্ষ্যভেদে জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতে সাইফ স্পোর্টিং। সেমি-ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা চট্টগ্রাম আবাহনীর। প্রথম মিনিটেই মোহামেডানের ফরহাদ মনার শট প্রতিহত করেন সাইফের এক ডিফেন্ডার। পরের আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় ২০০৯ সালে সর্বশেষ ফেডারেশন কাপের স্বাদ পাওয়া দলটি। হাবিবুর রহমান সোহাগের কর্নারে বুরকিনা ফাসোর মনিজর কৌলিদিয়াতির হেড পাস থেকে হেডেই জাল খুঁজে নেন আতিকুজ্জামান। চতুর্থ মিনিটে শাহেদ মিয়ার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। সপ্তম মিনিটে সমতার স্বস্তি ফিরে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে আসা সাইফ স্পোর্টিংয়ের। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের কর্নারে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এমানুয়েল হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। চার মিনিট পর তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইকেচুকু কেনেথ; এগিয়ে যায় সাইফ। ১৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল গত আসরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া সাইফ। গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপুকে একা পেয়েও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার জন ওকোলি। ৩৭তম মিনিটে ফাহিমের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তিন মিনিট পর ফাহিমের কর্নারে আরিফুর রহমানের হেডে ফিরে পোস্টে লেগে। ৪৩তম মিনিটে জাফর ইকবালের জোরালো শট পাপ্পু হোসেন ফিস্ট করার পর কর্নার থেকে সমতায় ফেরে মোহামেডান। শাহেদ মিয়ার কর্নারে মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতের হেডে পরাস্ত সাইফ গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে ৬২তম মিনিটে কেনেথের শট ফিরিয়ে মোহামেডানের ত্রাতা বিপু। এই গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় দলটি। যোগ করা সময়ে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জাল খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন ওকোলি; শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে বিপু আটকান নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডারের প্রচেষ্টা। ১০৯তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রহিম উদ্দিন। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এই ফরোয়ার্ড গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার বরাবর দুর্বল শট নেন। কর্নারের বিনিময়ে ফেরান বিপু। কর্নারে পর ওকোলির শট গোললাইন থেকে ফেরান কৌলিদিয়াতি। দুই মিনিট পর কেনেথ বাইরের জাল কাঁপান। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দারুণ নাটকীয়তার পর জিতে সাইফ।