প্রকাশ: রোববার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ০৩.০১.২০২১ ১:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) দায়িত্ব গ্রহণের পর খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যেই খালগুলো পরিষ্কার করে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রাজধানীর পান্থপথ সড়কের পান্থকুঞ্জ পার্কের বক্স কার্লভার্ট পরিষ্কারের মাধ্যমে গতকাল শনিবার সকাল থেকে খাল উদ্ধার, পরিষ্কার এবং রক্ষাণাবেক্ষণের কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএসসিসি।
পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন। দেরি না করে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা সফল হবো বলে আশা করছি। এপ্রিলের শুরু থেকে ঢাকা শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এপ্রিলের মধ্যে আমরা তিনটা খাল এবং দুইটা কালভার্ট সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে পারব। যদি এ সময়ের মধ্যে খাল এবং কালভার্ট পরিষ্কার করতে পারি, তাহলে এ বছর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব।
তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্নতা, সীমানা নির্ধারণ, তারপর সীমানার ভেতর থাকা অবৈধ আবাসন উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করে আমরা বর্জ্য অপসারণ করব। আজ (গতকাল) আমরা কাজ শুরু করলাম, দেখি ভেতরে কি আছে। এর ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করব। ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরে যে বক্স কালভার্ট রয়েছে তার গভীরতা দুই রকম। ১১ ফিট থেকে ২০-২২ ফিট। আমরা সঠিক মাপটা বের করব। পান্থপথ খালের মোট ২৪টি মুখ রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দিনেই তিনটি মুখ পরিষ্কারে কাজ শুরু করেছে। তিনি আরো জানান, শুধু কালভার্টের মুখ পরিষ্কার করলে হবে না। প্রেসার দিয়ে ভেতরে পানি দিতে হবে। আমরা দেখলাম, অনেক কানেকশন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা প্রতিদিন ২০০ মিটার করে আগাবো। ওয়াসার সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার আমাদের চুক্তি হয়েছে, আমরা ওয়াসার যন্ত্রপাতি এবং নলেজ পাব। আমাদের যে প্রকৌশলীরা সেটা বুঝে নিচ্ছেন। কার্লভার্টের উপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নেই জানিয়ে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, কালভার্টের উপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নেই। সীমানা নির্ধারণপূর্বক বুঝা যাবে কার্লভার্টের বাইরে কোনো অবৈধ স্থাপনা আছে কিনা। কালভার্টের ভেতর কোনো স্থাপনা নেই।