শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিশ্ব সভা আলোকিত হয়: ড. শাহীনূর রহমান
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০২০ সাল জুড়েই সারা পৃথিবীতে মহামারি করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালিয়েছে। এর ছোবল থেকে বাদ যায়নি আমাদের বাংলাদেশও। তবে চীনে করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় কাজ শুরু করেন। আমাদের সফল প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসকে মোকাবিলায় ভয় পেয়ে বসে থাকেন নি। বরং এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে প্রত্যেক ক্ষেত্রে সফলতা, সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন। সরকারের গৃহীত প্রতিটা পদক্ষেপ জনকল্যাণমুখী। ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। পৃথিবীর মানচিত্রে তাই আজ দূর থেকে একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখা যায়, যার নাম ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। তাই বলা চলে, একজন অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর উপ-উপাচার্য ড. শাহীনূর রহমান, জার্মান দূতাবাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. শাহীনূর রহমান বলেন, ভোরের পাতা বরাবরের মত আজকেও একটি সুন্দর বিষয় নিয়ে সংলাপের আয়োজন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন সারা বিশ্বে তার বিশ্ব মানবতার জন্য খ্যাতি ছিল ঠিক তেমনি তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আজ সারা বিশ্বে অনন্য একজন নেত্রী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের এমন একজন পুরুষ ছিল যিনি পুরো বাংলাকে এক করেছিলেন। যার তর্জনীতে পুরো বাংলার আকাশ গর্জে উঠেছিল। যিনি শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। যিনি চেয়েছিলেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে। তিনি আমাদের মহাননেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জীবনের সবচাইতে বড় একটা সম্পদ তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন। জননেত্রী, দেশরত্ন, ভাষাকন্যা ইত্যাদি নামে ভূষিত করা হয় সেই সম্পদকে। বঙ্গবন্ধু শোষণহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তখনই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার মূল উদ্দেশ্যই ছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করা, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে হত্যা করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারী এবং প্রতিক্রিয়াশীলরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে হত্যা করে তারা চেয়েছিল আবারো পাকিস্তানি ভাবধারায় এদেশ পরিচালনা করার। তবে তাদের ভাগ্য পুরোপুরি সপ্রসন্ন ছিল না। আমাদের সৌভাগ্য যে সেদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা আপা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। পুরো পরিবারকে হারিয়ে শোঁকাতর হয়ে গিয়েছিলেন তারা। তারপরেও দেশে ফিরে আবারো দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যায় যার ফল আজ বাঙলার মানুষ ভোগ করছেন। এই করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সকল সেক্টরের কাজের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকেও সমানতালে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যখন দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় তখন থেকেই দলের নেতাকর্মীকে সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেন। তারপর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ মানবতার সেবায় নেমে পড়েন। মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। যখন মৃত মানুষের সৎকারে কেউ এগিয়ে না এসে অবহেলা করে। তখন যুবলীগ, ছাত্রলীগ সৎকারের ব্যবস্থা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনা নিয়ে সকল নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। এই করোনার মধ্যে জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশ পিছনে ফেলেছে ভারতের মত একটি পরাক্রমশালী দক্ষিণ এশিয়ার দেশকে। মানবউন্নয়ন সূচকে এগিয়েছি আমরা। জীবন ও জীবিকার অনেক সূচকে এখন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে রোল মডেল। করোনায় না খেয়ে মরেনি একজন ব্যক্তিও। এর কৃতিত্ব অবশ্যই আমাদের বর্তমান সরকারকে দিতেই হবে। করোনাকে মোকাবিলায় আমাদের নীতি একদিন বিশ্বের কাছে দুর্যোগ মোকাবিলার অনুকরণীয় কৌশল হবে।