ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের শত ফুল একদিনেই ফোটে না। এর জন্য প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন পরিচর্যার। কিন্তু এই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপি কোনও দায়িত্বশীল ভূমিকা তো রাখেইনি, বরং পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি জনরায় পাওয়ার আগেই ফল প্রত্যাখ্যান করেছে, যা প্রকারান্তরে জনগণের রায়কেই অপমান করা।
বিএনপি নেতাদের ‘সরকার গণতন্ত্র, অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে’ এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ধ্বংস নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন সৃষ্টিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে। সারাদেশে চলছে সমৃদ্ধির সোপানে নতুন উচ্চতা নির্মাণের নিরলস প্রয়াস। যাদের হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশ, তারা ধ্বংস নয়, এদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই অবিরাম কাজ করছে। প্রকারান্তরে যারা স্বাধীন স্বদেশ চায়নি, তারাই এখন দেশের ধ্বংস চায়।
তিনি আরও বলেন, দেশে কোনও স্বৈরতন্ত্র নেই, আছে গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ আর বাক স্বাধীনতা। তাই বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে, পারছে অবিরাম বিষোদগার করতে। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই নিয়মিত নির্বাচন-উপনির্বাচন হচ্ছে এবং বিএনপিও নিয়মিত অংশ নিতে পারছে। তারা জয়লাভও করছে।
বিএনপি দেশকে পিছিয়ে দিতে চিরাচরিত পাকিস্তানি ভাবধারার দৃষ্টিসীমায় রাষ্ট্রের অর্জন আর সক্ষমতার সুবর্ণ রূপ দেখতে পায় না উল্লেখ করে কাদের বলেন, তারা শেখ হাসিনার অর্জনে প্রতিহিংসার আগুনে দগ্ধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। করোনা মহামারিতে শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্বের কারণে একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি। আর এটাই বিএনপির কষ্টের কারণ।