প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৫৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ অভিযোগকারীর মোবাইলে মামলা-জিডি সংক্রান্ত সব তথ্য ক্ষুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার একটি সেবা চালু করেছে। ‘সিএমপি বন্ধন’ নামে এই সেবা চালু হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্মশতবর্ষ’ উপলক্ষে। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে এটি প্রথম বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানায় ২০২১ সালের প্রথমদিন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু হবে। থানায় কেউ জিডি বা মামলা করলে তার সামগ্রিক তথ্য ১ জানুয়ারি থেকে পৌঁছে যাবে মোবাইলে। সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীর গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সেবা চালুর ফলে বাদী থানায় অপেক্ষা না করে চলে যেতে পারবেন। রেকর্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তার নামসহ এসএমএস চলে যাবে বাদীর নম্বরে। পাশাপাশি তদন্তকর্মকর্তার মোবাইলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে বাদীর নাম ও সেল ফোন নম্বর। সিএমপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তদন্ত চলমান সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রেও বাদীকে নাম-মোবাইল নম্বর এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তদন্তের শুরু থেকে সকল অগ্রগতি, তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রের বিষয়ে বাদীকে জানানো হবে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে তার তারিখ, নম্বর, ধারাও বাদীর মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য যাবে। সফটওয়ারের মাধ্যমে চালু হওয়া এ সেবার ফলে মামলার পরিস্থিতি তদারকি কর্মকর্তাদেরও জানার সুযোগ থাকবে। যার মাধ্যমে বাদী তার মামলা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তারাও তার ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে তার করণীয় সম্পর্কে তথ্য পাবেন। সিএমপি কমিশনার বলেন, এটি কোনো অ্যাপ নয়। এটি নিজস্বভাবে তৈরি একটি সফটওয়্যার, যা সব থানায় কম্পিউটারে থাকবে। সফটওয়্যারটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে এতে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইলের পাশাপাশি জোনাল এসি অফিস ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনিটরিং সার্ভারে চলে যাবে। এ সেবা চালুর ফলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে মানুষের একটা সেতুবন্ধনও তৈরি হবে। এসএমএস সেবার খরচ সিএমপির নিজস্ব টেলিযোগাযোগ খাত থেকে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার। সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম, শ্যামল কুমার নাথ ও মোস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন।