#বিএনপির হাতে গণতন্ত্র কোনদিনই নিরাপদ ছিল না: শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
#২৯ বছর দেশ গণতন্ত্রের বাইরে পরিচালিত হয়েছে: মো. সুলতান শরীফ।
#স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দেশব্যাপী গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে: অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত।
#বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা: সিদ্দিকুর রহমান।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাই আজ আমরা গণতন্ত্র চর্চা করতে বিজয় দিবস পালন করছি। বিএনপি-জামায়াত আল বদর রাজাকারদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মোকাবেলা করতে জানেন। কোন অপশক্তি এই গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবে না। তাই বলা চলে শেখ হাসিনা মানেই গণতন্ত্রের মানসকন্যা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) এর সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সুলতান শরীফ, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আজকে আমাদের বিজয়ের মাসের শেষ দিনের আগের দিন। আর কয়েক ঘণ্টা পরে শেষ দিনটি চলে আসবে। তাই এই দিনে আমি স্মরণ করছি আমাদের জাতির স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজকে দিনটি আরেকটি অর্থে গুরুত্বপূর্ণ। আজ গণতন্ত্র দিবস। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ স্বাধীন করলেন তারপরে তার সাথে একবার দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। সেসময় আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, এখন থেকে কাজ হবে দেশে একটি সংবিধান প্রণয়ন করা, এবং সেই সংবিধান হবে গণতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে একটি সংবিধান যেখানে জনমানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত হবে, নিশ্চিত হবে সেই চার নীতি যার উপর ভিত্তি করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এখানে গণতন্ত্রের কথাই প্রথম আসে। এরপরে আছে সমাজ তন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ। দেশে ফিরে তিনি প্রথম এই কাজটিতে হাত দিলেন যার ফলে ৯ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু অনেকটা মিরাকিউয়াসলি তিনি আমাদেরকে একটা সংবিধান দিতে পেরেছিলেন, যেখানে পাকিস্তানের লেগেছিল ৯ বছর এই সংবিধান প্রণয়ন করতে। এমনকি ভারতেও লেগেছিল আড়াই বছর। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯ মাসে আমাদেরকে সংবিধান উপহার দিতে পেরেছিলেন। সেটি ছিল সারা বিশ্বের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান যেখানে আইনের শাসন, মানবাধিকারসহ অন্য সমস্ত মানবিক দিক গুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে। সংবিধান সমুন্নত থেকেছে৷ তাই এই দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে সবাই। বিএনপি সবসময়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়৷ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। তারা হারলেই নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এর ধারাবাহিকতা চলছে। আর বিএনপি এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। তাদের হাতে গণতন্ত্র কোনদিনই নিরাপদ ছিল না, এবং ভবিষ্যতে নিরাপদ নয়। তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের কারিগর।
মো. সুলতান শরীফ বলেন, হাজারো মাইল দূর থেকে আপনাদেরকে দেখছি এবং গণতন্ত্র মুক্তির জন্য কিছু রাজনৈতিক দিক এবং দায়িত্ব আছে, এইগুলো দেশে রাজনৈতিক দলগুলো পালন করছে কিনা সেটার দিকে তাকাতে হবে। আজকের বিজয়ের মাসের এই শেষ দিনে গণতন্ত্রের বিষয় নিয়ে যে সুন্দর একটি প্রোগ্রাম করা হচ্ছে তার জন্য ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ১৯৭২ সালে আমরা একটা সংবিধান করেছিলাম যার জন্য সেসময় একটি ওপেন নির্বাচন হয়েছিল। এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। সে ইতিহাস আপনাদের সবার জানা। কিন্তু ১৯৭৫ সালে সেই সংবিধান থেকে গণতান্ত্রিক ধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত, পর্যদুস্থ এবং উল্টিয়ে দেওয়ার জন্য সংবিধানকে অবমাননা করে সেই স্বৈরাচারী, সামরিকজান্তারা বিদেশীদের অনুপ্রেরণায় ক্ষমতা দখল করেছিল। এই পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সর্বমোট ২৯ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় দেশটি চলেছিল। ২০০৮ সালে বহু সংগ্রাম, বহু কষ্ট, বহু ত্যাগ করে এমনকি ১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার মত নেত্রী দেশের বাইরে থেকে এসে দেশে প্রেম ও দেশের মানুষের প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন, তাকেও জেলের মধ্যে ১১ মাস অবরুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল সেই সামরিক জান্তারা। এরই মধ্য দিয়ে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ ভুয়া ভোটারকে উৎখাত করে একটি ওপেন ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হলো। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে আসে। এটা যদিও সামরিক জান্তা থাকা অবস্থায় জয় লাভ কিন্তু দেশটাকে গড়ার জন্য প্রকৃত সুযোগ পাই আমরা এই সময়ই। এই যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়া সরকার সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত যেসমস্ত উন্নয়ন আজ আমরা নিজ চক্ষে দেখতে পারছি সেগুলো এই সরকার করতে পেরেছে। আমার বাল্যকাল থেকে স্বপ্ন ছিল, আমার আশেপাশের মানুষ যাতে দুবেলা খেতে পারে, থাকার একটু আবাসস্থল পায়, এবং মাথার উপরে একটু ছাদ থাকে; এটা ছিল আমার স্বপ্ন। আজকে আমরা আনন্দিত যে, এই সকল স্বপ্ন পূরণ করেছে এবং আরও করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনার সরকার। আজ দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কম পক্ষে তিন জন নারী সদস্য থাকছে এই নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এর ফলে দেশের রাজনীতিতে নারীর যে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, আমি দেখছি শুধু ঢাকাতে নয় সারা বাংলাদেশের মানুষ এই গণতন্ত্র বিজয় দিবসকে যে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করেছে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন যে আমদের দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে অধিকার ফিরে পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়ে তাদের জীবন কাটাবে। এবং মানুষ এর স্বাদ পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। সারা বিশ্বের মানুষজন এই করোনাকালীন সময়ে যেভাবে অস্থির জীবন-যাপন করছে, অর্থনীতি যেখানে থমকে দাঁড়িয়েছে সেখানে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন ডলার। এর চেয়ে বড় সাফল্য আর কি হতে পারে। সাথে সাথে আমি আরও বলতে চায়, বাংলাদেশ ২০৩৫ সনের মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি দেশের মধ্যে ২৫ নাম্বার দেশের অবস্থানে থাকবে ১৯২টি দেশের মধ্যে। এটা একমাত্র সম্ভব দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আর তিনি হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৫ সালের একটি কথা, আমি তখন আয়ারল্যান্ডে একটি হাসপাতালে বাচ্চাদের হার্ট সার্জন ছিলাম। যখন সার্জারি শেষ করে আমি অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হলাম তখন আমার কিছু আইরিশ বন্ধু, ডাক্তার, নার্সরা আমাকে জিজ্ঞেস করতেছিল আমি ভালো আছি কিনা। তখন আমি বললাম, কেন কি হয়েছে? তারা বলেছিল তোমার দেশে ৬৪টি জেলার ৬৩টিতেই ৫০০টির বেশি বোমা ফুটেছে। এই ছিল আমাদের দেশের অবস্থা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতীকে গণ রায় দিয়েছে। এ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তাঁর সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইবুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
সিদ্দিকুর রহমান, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের শাসন এরপর মুক্তিযুদ্ধ। এই বাংলাদেশকে সৃষ্টি করার জন্য যিনি তার জীবনের বেশীরভাগ সময় জেলখানায় অতিবাহিত করেছেন এবং বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র সহ্য করে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি হলেন এই বাংলাদেশের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো তাহলে আজকে হয়তো আমরা এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। যে মানুষটি এতো বছর কষ্ট করে আমাদের এই দেশটাকে স্বাধীনতা এনে দিল, সে মানুষটি ১০ই জানুয়ারি দেশে ফেরত আসার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশের ক্ষমতায় থাকাকালীন কি কি করেছে এবং করার পরিকল্পনা ছিল তার নানা বক্তব্যে আমরা শুনেছি। তার দেখানো পথ ধরেই আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মাঝখানে ১৯৯৬-এ দেশের দায়িত্বে ছিলেন তারপরে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি আবার দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের জনগণের কি না করে যাচ্ছেন। আমরা একটি জায়গায় দেখলেই বুজতে পারবো যে আমাদের এই সরকারের কি কি উন্নতি করেছে। বিএনপি ক্ষমতাকালে থাকার সময় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি বরংচ যেঁগুলো ছিল সে গুলো নষ্ট করা হয়েছে। আজকে গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের পালন করছি আমরা। হত্যাকারীদের সকল ষড়যন্ত্র আমরা এই বাংলার মাটিতে হতে দিবো না। কোন অপশক্তি এই গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবে না। একজন গণমানুষের নেত্রী, যিনি তার পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে বেঁচে আছেন। একজন আপামর জনতার নেত্রী, যিনি দেশ ও দশের মানুষের কল্যাণে সকাল থেকে রাত নিরলস পরিশ্রম করে যান। একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি তার পিতার সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিদিন লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনিই বাংলার মানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি, অদম্য দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের রুপকার, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে থেকে দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে বলে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এই অর্জন বাংলাদেশের সকল মানুষের।