২৯ বছর দেশ গণতন্ত্রের বাইরে পরিচালিত হয়েছে: মো. সুলতান শরীফ
প্রকাশ: বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাই আজ আমরা গণতন্ত্র চর্চা করতে বিজয় দিবস পালন করছি। বিএনপি-জামায়াত আল বদর রাজাকারদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মোকাবেলা করতে জানেন। কোন অপশক্তি এই গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবে না। তাই বলা চলে শেখ হাসিনা মানেই গণতন্ত্রের মানসকন্যা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) এর সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সুলতান শরীফ, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মো. সুলতান শরীফ বলেন, হাজারো মাইল দূর থেকে আপনাদেরকে দেখছি এবং গণতন্ত্র মুক্তির জন্য কিছু রাজনৈতিক দিক এবং দায়িত্ব আছে, এইগুলো দেশে রাজনৈতিক দলগুলো পালন করছে কিনা সেটার দিকে তাকাতে হবে। আজকের বিজয়ের মাসের এই শেষ দিনে গণতন্ত্রের বিষয় নিয়ে যে সুন্দর একটি প্রোগ্রাম করা হচ্ছে তার জন্য ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ১৯৭২ সালে আমরা একটা সংবিধান করেছিলাম যার জন্য সেসময় একটি ওপেন নির্বাচন হয়েছিল। এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। সে ইতিহাস আপনাদের সবার জানা। কিন্তু ১৯৭৫ সালে সেই সংবিধান থেকে গণতান্ত্রিক ধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত, পর্যদুস্থ এবং উল্টিয়ে দেওয়ার জন্য সংবিধানকে অবমাননা করে সেই স্বৈরাচারী, সামরিকজান্তারা বিদেশীদের অনুপ্রেরণায় ক্ষমতা দখল করেছিল। এই পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সর্বমোট ২৯ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় দেশটি চলেছিল। ২০০৮ সালে বহু সংগ্রাম, বহু কষ্ট, বহু ত্যাগ করে এমনকি ১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার মত নেত্রী দেশের বাইরে থেকে এসে দেশে প্রেম ও দেশের মানুষের প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন, তাকেও জেলের মধ্যে ১১ মাস অবরুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল সেই সামরিক জান্তারা। এরই মধ্য দিয়ে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ ভুয়া ভোটারকে উৎখাত করে একটি ওপেন ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হলো। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে আসে। এটা যদিও সামরিক জান্তা থাকা অবস্থায় জয় লাভ কিন্তু দেশটাকে গড়ার জন্য প্রকৃত সুযোগ পাই আমরা এই সময়ই। এই যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়া সরকার সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত যেসমস্ত উন্নয়ন আজ আমরা নিজ চক্ষে দেখতে পারছি সেগুলো এই সরকার করতে পেরেছে। আমার বাল্যকাল থেকে স্বপ্ন ছিল, আমার আশেপাশের মানুষ যাতে দুবেলা খেতে পারে, থাকার একটু আবাসস্থল পায়, এবং মাথার উপরে একটু ছাদ থাকে; এটা ছিল আমার স্বপ্ন। আজকে আমরা আনন্দিত যে, এই সকল স্বপ্ন পূরণ করেছে এবং আরও করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনার সরকার। আজ দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কম পক্ষে তিন জন নারী সদস্য থাকছে এই নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এর ফলে দেশের রাজনীতিতে নারীর যে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে হয়েছে।