প্রকাশ: বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাই আজ আমরা গণতন্ত্র চর্চা করতে বিজয় দিবস পালন করছি। বিএনপি-জামায়াত আল বদর রাজাকারদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মোকাবেলা করতে জানেন। কোন অপশক্তি এই গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবে না। তাই বলা চলে শেখ হাসিনা মানেই গণতন্ত্রের মানসকন্যা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) এর সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সুলতান শরীফ, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সিদ্দিকুর রহমান, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের শাসন এরপর মুক্তিযুদ্ধ। এই বাংলাদেশকে সৃষ্টি করার জন্য যিনি তার জীবনের বেশীরভাগ সময় জেলখানায় অতিবাহিত করেছেন এবং বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র সহ্য করে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি হলেন এই বাংলাদেশের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো তাহলে আজকে হয়তো আমরা এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। যে মানুষটি এতো বছর কষ্ট করে আমাদের এই দেশটাকে স্বাধীনতা এনে দিল, সে মানুষটি ১০ই জানুয়ারি দেশে ফেরত আসার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশের ক্ষমতায় থাকাকালীন কি কি করেছে এবং করার পরিকল্পনা ছিল তার নানা বক্তব্যে আমরা শুনেছি। তার দেখানো পথ ধরেই আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মাঝখানে ১৯৯৬-এ দেশের দায়িত্বে ছিলেন তারপরে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি আবার দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের জনগণের কি না করে যাচ্ছেন। আমরা একটি জায়গায় দেখলেই বুজতে পারবো যে আমাদের এই সরকারের কি কি উন্নতি করেছে। বিএনপি ক্ষমতাকালে থাকার সময় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি বরংচ যেঁগুলো ছিল সে গুলো নষ্ট করা হয়েছে। আজকে গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের পালন করছি আমরা। হত্যাকারীদের সকল ষড়যন্ত্র আমরা এই বাংলার মাটিতে হতে দিবো না। কোন অপশক্তি এই গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবে না। একজন গণমানুষের নেত্রী, যিনি তার পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে বেঁচে আছেন। একজন আপামর জনতার নেত্রী, যিনি দেশ ও দশের মানুষের কল্যাণে সকাল থেকে রাত নিরলস পরিশ্রম করে যান। একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি তার পিতার সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিদিন লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনিই বাংলার মানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি, অদম্য দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের রুপকার, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে থেকে দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে বলে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এই অর্জন বাংলাদেশের সকল মানুষের।