মঙ্গলবার ওই সাক্ষাৎকার প্রচারের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী।
দুদকের আবেদনের জবাবে বুধবার শুনানির পর বিচারপতি মোঃ. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৯শে নভেম্বর হাইকোর্ট একটি স্বপ্রণোদিত আদেশে জানতে চেয়েছিলেন যে, পি কে হালদারকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একটি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি. কে. হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই তিনি বিদেশে পালিয়েছেন।
ব্যাংক বহির্ভূত চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে দুর্নিতির অভিযোগ নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়, তখনই তিনি বিদেশে পালিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তারা চেষ্টা করছেন।
মি. হালদার একটি লিজিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাদ্যমে অনেক গ্রাহকে কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, পি. কে. হালদার দেশে না থাকায় কোন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না।
"আইনত সে পলাতক আসামী। সেজন্য এখানে তার পক্ষে আইনজীবী নেই। তাকে আত্নসমর্পণ করে জেলে যেতে হবে অথবা জামিনে থাকতে হবে-তাহলে সে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।"
খোরশেদ আলম উল্লেখ করেছেন, পি. কে. হালদার দুবাই অথবা সিঙ্গাপুরে পালিয়ে রয়েছেন।
এটি ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মি. হালদার আসলে কোন দেশে পালিয়ে রয়েছেন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে নাই।