প্রকাশ: বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:১০ পিএম আপডেট: ৩০.১২.২০২০ ১:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর সেই অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিজেই ‘গণপূর্ত’ বানানটি সঠিকভাবে জানেন না। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা ২০১৯ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শামীম আখতার অদৃশ্য এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন এ মাসের ১৩ ডিসেম্বর।
হঠাৎ প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসা এই মোহাম্মদ শামীম আখতার বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (http://www.pwd.gov.bd/site/page/bd93d2a4-8e48-4710-acec-ba0c58a5f1d3/-) নিজের একটি বাণী দিয়েছেন, সেই বাণীতে অনেক কথা লিখার পর তিনি ‘মোহাম্মদ শামীম আখতার প্রধান প্রকৌশলী গনপূর্ত অধিদপ্তর’ এভাবে প্রকাশ করেন। কিন্তু বাংলা অভিধানে ‘গনপূর্ত’ নামের কোনো শব্দ খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বাণীতে যদি গণপূর্ত বানানটা ভুল থাকে, তাহলে তিনি সে চেয়ারে কিভাবে বসে কালো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করবেন। এমনটা মনে করে অনেকেই। গণপূর্তের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, বিষয়টা খুবই লজ্জার। যদিও তিনি নিজে হয়তো লেখেননি। তবে শামীম আখতারের উচিত ছিল সবকিছু ঠিক করেই ওয়েবসাইটে নিজের বাণীটি আপলোড করার। বিষয়টি কিভাবে এ প্রতিবেদকের দৃষ্টিগোচর হলো, সেটা নিয়েও প্রশংসা করে বলেন, সাংবাদিকের চোখ আসলেই অন্যরকমের চোখ।’
আরেকজন নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, শামীম আখতার কিভাবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হয়েছেন এটা নিয়ে নানা ধরণের কথা আমরা শুনেছি। সেসব নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। তবে কোনোভাবেই সরকারি ওয়েবসাইটে ‘গণপূর্ত’ বানান ভুল করে বাণী দিলে তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না।
এদিকে, কিভাবে সরকারি ওয়েবসাইটে নিজের প্রতিষ্ঠানের নামের বানানটি ভুলভাবে প্রচারিত হলো এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠালেও তিনি তার প্রতিউত্তর করেননি।