বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে পৌঁছে গিয়েছে: চৌধুরী হাফিজুর রহমান
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব অর্থনীতি যেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে শেখ হাসিনার সাহসী আর বিচক্ষণ পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত, সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ, গৌরবময় হয়েছে বাঙালি যা অর্জনে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (ব্রুনায় হালাল ফুডস), ব্রুনায় এর সিইও, ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা, অস্ট্রেলিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রনেতা ড. নূর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, পাবলিক একসেস ব্যারিস্টার এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য চৌধুরী হাফিজুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
চৌধুরী হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ব ব্যাংক যখন এই পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কালিমা এঁটে দিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট হয়ে দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন, ‘আমরা নিজেরাই বানাবো পদ্মা ব্রিজ’, তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি এটা সত্যিকার অর্থেই সম্ভব। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি আমরা। হয়তো আর বছরখানেকের মধ্যে আমরা ব্যবহার করতে পারবো ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু, যেখানে সড়ক ও রেল উভয় মাধ্যমে সংযোগের সুযোগ থাকছে। বিশ্ব সম্প্রদায় দেখছে বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র হিসেবে কি মর্যাদার রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে অনেক ঝড়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ১৯৭৫ সালে সেই কালো আইন ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করার প্রচেষ্টা, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যা করার যে ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছিল যেখানে আমরা ২৪ জন নেতা কর্মীকে হারিয়েছি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যতে যে অপশক্তিদের আঘাত হয়েছিল, এই তিনটি আঘাত একই সূত্রে গাথা। সত্তরের দশকের শুরুতে এদেশে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ছিল দরিদ্র, বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরশীল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিচিতি হয়েছিল তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে। সেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যের হার নামিয়ে এনেছে শতকরা ২০ ভাগে। ১৯৯২ সালেও যেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ২২০ মার্কিন ডলার আজ তা উন্নীত হয়েছে ২০৬৪ ডলারে। সত্তরের দশকের গড়ে তিনভাগ জিডিপির প্রবৃদ্ধি বর্তমান দশকে প্রায় সাত শতাংশ করা হয়েছে।