ডা এনামুর রহমান বলেন, আজকে একটি শুভদিন। আজ সকালে আমাদের ইকোনমিক কাউন্সিলেরে বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টম পঞ্চবার্ষিকীর যে পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন, সেখানে আমারা দেখেছি ৫৮টি মন্ত্রণালয় আগামী ৫ বছর কিভাবে কাজ করবে, এবং এই কাজের ফলে আমদের প্রবৃদ্ধি কতো হবে, আমাদের মাথা পিছু আয় কত হবে, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কতো দাঁড়াবে, দেশে কর্মসংস্থান কতো হবে, বিদেশে কতো হবে, আমাদের গড় আয়ু কত হবে, আমাদের শিক্ষা খাতে ছাত্র ছাত্রীদের এনরোলমেন্ট কতো হবে, আমাদের কৃষি খাতকে কিভাবে আরও সমৃদ্ধি করা যায়, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবেলা হবে, হাওরাঞ্চলে কিভাবে বন্যা মোকাবেলা করা হবে, খরা মোকাবেলা কিভাবে করা হবে, পাহাড়িদের উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এইরকম সব বিষয় নিয়ে আজকে পরিকল্পনা হয়েছে। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেন। এইসময় শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জনে খুব কার্যকর হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করছে যা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ছাড়াও সরকার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ গ্রহণ করেছে। এসব লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার দরকার ছিল। ষষ্ঠ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করেছি এবং আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য এই সকল পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন পর্ব এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই করোনা মহামারীতে যেসব দেশ উন্নয়নের সারিতে রয়েছে তাদের মধ্যেও আমরাও আছি। আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সবচে কম। সাউথ এশিয়ার মধ্যে আমরা করোনা মোকাবেলায় এক নম্বর অবস্থান দখল করে আছি এবং এর জন্য সারা বিশ্ব থেকে তাকে নানানভাবে ভূষিত করা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে যথেষ্ট সামর্থ্য সেটাও কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছি। আজকে ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশ যেখানে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কিরকম শক্ত ছিল সেখানে আজকে তাদের অবস্থা কি রকম হয়ে গিয়েছে, সেখান থেকে আজকে আমাদের অবস্থা অনেক ভালো আছে বলে আমি মনে করি।