আদালত ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পলাতক ব্যাংকার পিকে হালদারের ২টি ফ্ল্যাট ও প্রায় ৬ একর জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন । সুবিধাজনক সময়ে কোটি টাকার এসব সম্পদ জব্দ করতে দুনীতি দমন কমিশনকে আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
ক্রোক করা ফ্ল্যাট দুটির একটি হচ্ছে রাজধানীর সাতমসজিদ রোডের ১০/এ রোডের ৩৯ নম্বর বাড়ির ১২/ই ফ্ল্যাট। অন্যটি ধানমন্ডির ৬ নং সড়কের ১১ কাঠার ওপর নির্মিত বাড়ির ৮ম তলার ২ হাজার ৬০৩ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। এছাড়া আদালতের নির্দেশে যে কোন মুহুর্তে জব্দ করা হবে পিকে হালদারের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থাকা প্রায় ৬ একর জমিও।
গত বছর দুদক অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারী অর্থপাচার মামলায় পিকে হালদার ও তার পরিবারের ৮ সদস্যসহ পিপলস লিজিংয়ের ১২ জনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ রাখার আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকে।
বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের একাধিক বান্ধবীর নামে ৭০-৮০ টি অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করা হয়েছে।