তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষী ও যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তিন আসামির বিরুদ্ধে জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরকারিপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১৮ বছর ধরে তারা এ মামলা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করেছেন। আজও তারা একই কাজ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আদালত পাড়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সকাল ১১টার মধ্যে উভয়পক্ষে লোকজন আদালতে হাজিরও হন।
আসামিপক্ষে এ সময় শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর জানান ১৮ বছর তারা এই মামলাটি পরিচালনায় বাধাগ্রাস্ত করেছেন। আজও ৩৪২ না করে তারা বাধা দিয়েছে। আদালত ৩৪২-এর কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। কোনো প্রকার ডাক্তারি সার্টিফিকেট ছাড়াই তিন জন আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলায় ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সরকারপক্ষের সাক্ষী সমাপ্ত করেছেন আদালত বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ধর্ষণের শিকার তাকে দেখতে যান। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগ উঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।