এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন, যাঁরাই লন্ডন থেকে আসবেন, তাঁদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ঢাকার আশকোনার হজ ক্যাম্প ও দিয়াবাড়ীতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা আছে। এর পাশাপাশি কিছু হোটেলও ঠিক করা থাকবে।
রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লন্ডন থেকে আসা বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে রাত সাড়ে আটটায় এক ভিডিও কনফারেন্স শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোতে তাঁরা নিজ খরচে থাকবেন। সংশ্লিষ্ট থানা তাঁদের দেখভাল করবে।
এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে কোভিড সনদ আনার বাধ্যতামূলক যে ব্যবস্থা এখন চালু রয়েছে, তা বহাল থাকছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, নৌপরিবহনসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ সভায় অংশ নেন।