উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের জালালালাবাদ থানার লামাকাজি থেকে 'ছেড়ে আসা ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা' পরিহনের একটি মিনিবাসে (জ-১১-০৭২৩) দিরাই কলেজের এক ছাত্রী দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুরের বাড়িতে আসছিলেন। মিনিবাসটি দিরাই শহরের প্রবেশমুখ সুজানগরে পৌঁছালে ওই ছাত্রী ছাড়া বাসে আর কোনো যাত্রী ছিল না। এ সময় বাসটির চালক ও দুই হেলপার ওই কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে চলন্ত বাসেই তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তারা। এসময় সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী বাস থেকে লাফ দেন। এর পর কিছু দূর বাস নিয়ে বাসটি সড়কে রেখেই পালিয়ে যান এর চালক ও হেলপার। স্থানীয়রা রাস্তায় পড়ে থাকা অজ্ঞান অবস্থায় ঘটনার শিকার ছাত্রীকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দিরাই থানা এলাকায়ও বিক্ষোভ করে তারা। সিলেটের জালালাবাদ থানার শহিদ মিয়া নামের চালক বাসটি চালাতেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবিও পোস্ট করা হয় এবং ছবিটি ভাইরাল হয়।
গতকাল রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ওই ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন।