হাইকোর্টের আট দফা নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. বিচারাধীন মামলায় বা দ-িত কারাবন্দিদের নাম, ঠিকানা, মামলার নম্বর, মামলার ধারা, কোন আদালতে মামলা বিচারাধীন বা কোন আদালতের রায়ে কী দ- হয়েছে, কারা মহাপরিদর্শক, জেলার, ডেপুটি জেলারকে সেসব তথ্য রেজিস্ট্রারে রাখতে হবে। ২. কারা কর্তৃপক্ষকে বিচারাধীন মামলার বা দ-িত কারাবন্দিদের কারাগারে আসা এবং বের হওয়ার তারিখ রেজিস্ট্রারে উল্লেখ থাকতে হবে। ৩. যথাযথভাবে যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হয়ে কারাকর্তৃপক্ষ বা কারা কর্মকর্তাকে কারাবন্দির ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হবে বা সিল দিতে হবে। ৪. সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষ অথবা কারা কর্মকর্তা ওকালতনামার যেখানে স্বাক্ষর করবেন বা সিল বসাবেন, তার পাশে ওই কর্মকর্তার পুরো নাম, কারাগারের ল্যান্ডফোন ও মোবাইল ফোন নাম্বার উল্লেখ করবেন।  ৫. কোনো অশোভন, অযাচিত পরিবেশ-পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে জন্য যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি কারাগার ও কারা প্রাঙ্গণের শান্তি, নিরাপত্তা বজায় রাখতে কারা কর্তৃপক্ষকে সবসময় সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। ৬. কারাগারের ভেতরে সব ধরনের অবৈধ মাদক দ্রব্যের সরবরাহ বন্ধে কারা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. কারাবন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসা সাক্ষাতপ্রার্থী ও দর্শনার্থীদের কঠোরভাবে তল্লাশি করতে হবে। ৮. কোনো সাক্ষাতপ্রার্থী, দর্শনার্থী কারো কাছে কোনো মাদকদ্রব্য, অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনৗয় এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। কারা আইন, ১৮৯৪, কারাবন্দি আইন, ১৯০০ এবং বাংলাদেশ জেলকোডসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনের বিধান কারা কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। তিন মাস পরপর এ রায় বাস্তবায়নের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিল করতে হবে। আদেশ প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশটি কপি পাঠাতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, কারা মহাপরিদর্শক, সব জেলার ও ডেপুটি জেলারের বরাবরে।