ফের সদস্য হলেন ড. কাজী এরতেজা হাসান
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২২ এএম আপডেট: ২৮.১২.২০২০ ১২:৪৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, এফবিসিসিআই পরিচালক, ইরান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, ভোরের পাতা গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারপারসন ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি। গতকাল রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২০১৯-২১ মেয়াদে ৬০ জনের এই উপকমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদকে চেয়ারম্যান ও সিদ্দিকুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ উপকমিটি গঠন করা হয়।
এবারের কমিটিতে আবারও ঠাঁই পাওয়া নিয়ে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, ‘গত ৪৩ দিন ধরে টানা মসজিদে আছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার মসজিদে যাচ্ছি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে। আল্লাহর পথে হাঁটলে পুরস্কার দেন তিনিই। ঠিক তেমনি আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাদের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তাঁর সঙ্গে জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কয়েকটি সফরে দেখেছি, উড়ন্ত বিমানে কম্পাস দিয়ে দিক নির্ধারণ করে নামাজ আদায় করছেন। তাঁর মতো ধর্মপ্রাণ ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ আমি দেখিনি কোনোদিন। তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে গিয়ে কখন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি, তা ভেবে আমি এখনো আনন্দিত হই।’ তিনি তার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই আমার পিতা মরহুম কাজী আবদুল মান্নান এবং মা যিনি এখনো বেঁচে আছেন কাজী আজিজা মান্নান এখনো প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন। এমনকি তাঁর সুযোগ্য দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার এবং তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করেন। আমি আরেকটা কথা বলতে চাই, আমার মা ধর্মচর্চা যেমন নিয়মিত করেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের রবীন্দ্র সংগীত গুণগুণ করে গাইতে পারেন। এমন একটা পরিবার থেকেই উঠে এসেছি, সাতক্ষীরা যেখানে আমাদের পরিবার ছাড়া কতিপয় পরিবার ছিল যারা আওয়ামী লীগ করতেন।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘আজকের এই দিন আমার কাছে খুবই আনন্দের এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের। আবারো আমাকে একই পদে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সোনালী দুঃসময়ের নেতা ওবায়দুল কাদের নিজে স্বাক্ষর করে শিল্প বাণিজ্য উপকমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। তার কাছেও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য, শিল্প বাণিজ্য উপকমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ আমার খুব শ্রদ্ধার মানুষ। তিনি আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও উপকমিটির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান ভাই আমার কাছে শ্রদ্ধার বড় ভাই।
এছাড়া বর্তমান এফবিসিসিআইয়ের সুযোগ্য সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম ভাইয়ের কাছেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনিও এই শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটিতে সদস্য হিসাবে আছেন।’ তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে এবং শেখ হাসিনার নিদের্শনা পালন করতে পারি, সবাই এই দোয়া করবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’ উল্লেখ্য, এবারের শিল্প বাণিজ্য উপকমিটিতে আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়িক নেতা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এফবিসিসিআই পরিচালকদের মধ্য থেকে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সজীব রঞ্জন দাস ছাড়াও সংসদ সদস্য, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও অন্যান্যরা।