প্রকাশ: সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২২ এএম আপডেট: ২৮.১২.২০২০ ১২:৪৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় দফায় অন্তত আরো এক হাজার জনকে ডিসেম্বরেই স্থানান্তর করা হবে ভাসানচরে। বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশনের (আরআরআরসি) সূত্রে গতকাল রোববার এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরণার্থী কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে শরণার্থী দলকে প্রথমে নেওয়া হবে চট্টগ্রামে। তারপর জোয়ার ভাটার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে ভাসানচরে। এ ব্যাপারে আরআরআরসি’র ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মাদ শামসুদ দৌজা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ইচ্ছার ভিত্তিতেই তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে থেকেই এ প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এখনও তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমনকি, জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক অফিসের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে- তাদেরকে সংশ্লিষ্ট না করেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভাসানচরে তাদের পক্ষ থেকে একটি কৌশলগত এবং নিরাপত্তা জরিপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ তাদের অনুমতি না দেওয়ায় জরিপ শুরু করা যায়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত, ভাসানচরের পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, রাখাইনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন করার পরিবেশ আছে কি না - সে ব্যাপারে চিন্তিত হওয়া। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ২০১৭ সালের আগস্টে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের উখিয়া এবং টেকনাফে আশ্রয় নেয় প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। ইতোমধ্যেই, কয়েকদফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে তা আলোর মুখ দেখেনি। তারপর এ মাসের শুরুর দিকে অন্তত ১৬০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজার জেলার অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছিল বাংলাদেশের সরকার।