প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু স্কুলের পাশে পাথরের ওপর থেকে উদ্ধার করা সেই নবজাতক মেয়ে শিশুটিকে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। পরিচয়হীন শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। তিনি শিশুটির নাম রেখেছিলেন পদ্মাসেতুর অদলে ‘সেতু’। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান নবজাতকটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সেতুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, নবজাতক শিশুটি হাইপোথেরিয়া সমস্যায় ভুগছিল। অর্থাৎ তার শরীরে তাপমাত্রা ছিল না। তাছাড়া ওজনও কম ছিল। এ কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের দেয়ারা চৌকিদার কান্দি গ্রামের বাবুল ব্যাপারির স্ত্রী আছিয়া বেগম ১৯ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্কুলের পাশে পাথরের ওপর নবজাতক শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সদর হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পরলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।