প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা মহামারিতেও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসী কিছু সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে বাজে প্রভাব থেকে মুক্ত রেখেছে বাংলাদেশকে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তে ঝুঁকি নিয়ে কারখানা খোলায় ইতিবাচক ফলও এটা। সকল মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছিলো যেন দেশ পূর্ণ লকডাউনে যায়। সরকারের ইচ্ছায় লকডাউনে শিথিলতা ছিল। গার্মেন্টস, কলকারখানা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা বলছিলাম আমরা। দেশে পরিবহন চালু না রাখার কথাও বলা হচ্ছিলো। ভীতিকর পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যখন লকডাউনে তখন আমাদের গার্মেন্টস, কলকারখানা চলেছে, পরিবহনও চালু করা হয়েছে। যার সুফল এখন আমরা পাচ্ছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক আইন সম্পাদক এ্যাড. শ. ম রেজাউল করিম, জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিজিএমইএ এর সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, মাসিক মুক্তমঞ্চের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ফারুক হাসান বলেন, আমি প্রথমেই ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের এই টপিকে সংলাপ করার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আজ থেকে ১০-১১ বছর আগে আমাদের রপ্তানি পরিমাণ ছিল ১১ বিলিয়নের বেশি। কিন্তু ২০১৮-১৯ দিকে এসে আমরা এর পরিমাণ ৩৪ বিলিয়নে নিয়ে গিয়েছি। করোনার সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সাহসের কারণে যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেওয়া হলো এবং এই কারণেই আমাদের এখন অর্থনীতিতে পজিটিভ গ্রোথ আছে যেখানে সারা বিশ্বের বেশীরভাগ দেশই নেগেটিভ গ্রোথে আছে। উনার এই সাহসী পদক্ষেপের কারণেই আমরা আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দিতে পেরেছি ও একইভাবে রপ্তানি দিক সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে আমরা রাজস্বতে অর্থায়ন করতে ভূমিকা রেখেছি। এখন যে সারা বিশ্বে করোনার যে দ্বিতীয় ওয়েব চলছে সেখানেও আমরা কিন্তু আমাদের সরকারের সাহায্যে এবং আমাদের মালিক ও শ্রমিকদের যে দারুণ কম্বিনেশন এখন আছে তাতে আমরা ভালো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, উনার সাথে আমরা অনেক কাছাকাছি থেকেই তার ভূমিকা পাচ্ছি এবং সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছ থেকে আমরা সবসময় নানা রকম পরামর্শ ও সাথে সহযোগিতা পেয়ে আসছি। সারা বিশ্ব যখন করোনার ডামাডোলে তাল মাতাল হয়ে আছে সেখানে আমারা আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে বেশ ভাল অবস্থানে আছি এবং অবশ্যই কিছু সমস্যা চলছে এইগুলো সমাধানে আমরা প্রতিনিয়ত আলোচনা করে যাচ্ছি। প্রবাসীরা আমদের রেমিটেন্সে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে এবং সেই কারণে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১,০৩,০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের সঙ্গে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। আজকে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটি অনুরোধ থাকবে যে, সারা বিশ্বে আমাদের বাংলাদেশী অনেকেই আছেন যারা এখন সেসব দেশে সিটিজেনশিপে অবস্থান করছেন বা পড়াশোনার জন্য গিয়েছেন বা শ্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন, তারা সবাই যদি সেখানে 'মেইড ইন বাংলাদেশ' এর পণ্য কিনে তাহলে আমাদের অর্থনীতিতে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। আর আরেক দিক আমি বলতে চাচ্ছি শুধু রপ্তানি করলেই হবে না, আমাদের গ্রামীণ ইকোনমি বিষয়টাতে আমদের ভূমিকা রাখতে হবে। ২০২০ সালের আমাদের যে নেগেটিভ গ্রোথ হয়ে সেখানে যদি আমদের দেশের প্রোডাক্টকে সাপোর্ট দেই তাহলে আমদের এই জিনিসটা অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।