প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি শাকিব খান অভিনীত ও অনন্য মামুন পরিচালিত সিনেমা ‘নবাব এলএলবি’ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই থিয়েটারে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পরপরই অনলাইনে ভাইরাল হয় এই সিনেমার একটি দৃশ্য। ওই দৃশ্যে- ধর্ষিতা নারী মামলা করার জন্য থানায় যান। সেখানে পুলিশের এসআই ওই নারীকে অশালীন ভাষায় ধর্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। আর এতেই বাধে সব বিপত্তি।
নবাব এলএলবি সিনেমায় এমন দৃশ্যর মাধ্যমে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগ উঠে। পনোগ্রাফি আইনে সিনেমাটির পরিচালক অনন্য মামুন এবং ওই দৃশ্যের অভিনেতা শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিনেমার ওই দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ছিল অভিনেত্রী স্পর্শিয়ারও।
আপত্তিকর ওই দৃশ্য নিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘যখন ওই দৃশ্য ধারণ করা হয়, তখনই আমি পরিচালককে বলেছিলাম ওভাবে না করতে, পুলিশি ঝামেলা হতে পারে। তা–ই হলো। কারণ, সিকোয়েন্সটির উপস্থাপনা ভালো হয়নি। একটি সুন্দর কথাও খারাপভাবে উপস্থাপন করা যায়, আবার খারাপ কথাও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। ওই দৃশ্যে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তার উপস্থাপনা সুন্দর হয়নি।’
সহশিল্পী শাহিন মৃধাকে গ্রেপ্তারের কারণে কষ্ট পেয়েছেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘ওই সিকোয়েন্সের কারিগর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। অভিনেতারা এ জন্য দায়ী হতে পারেন না। শাহিন মৃধাকে আমি আগে চিনতাম না। ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর পারিশ্রমিকও কম। তিনি এ রকম বিপদে পড়ায় আমার খুব খারাপ লাগছে।’
এদিকে ওই দৃশ্যের জন্য পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে এ আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম। ‘নবাব এলএলবি’ চলচ্চিত্রে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে ডিএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দায়ের করা মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে অনন্য মামুনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তারপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আদালতে আসামিদের আটক রাখার আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। অনন্য মামুন, শাহিন মৃধা ও অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম ছাড়া এজাহারে স্পর্শিয়ার নাম নেই বলে জানা যায়।