আদালত মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়া পাপুলসহ আটজনের আরও ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুদক ও সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম কেএম ইমরুল কায়েস এ নির্দেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, দুদক পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ১৪৮টি, স্ত্রী সেলিনা ইসলামর ৩৪৫টি, মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ৭৬টি ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ৪৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, পাপুলসহ আটজনের ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করে সিআইডি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।
এছাড়া মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।
এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।