স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী'র সাথে সামঞ্জস্য রেখেই 'ধ্রুবতারা' নামকরণ, সহায়তা করেন শেখ রেহানা
প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নতুন নতুন বিমানের নামকরণের পরিকল্পনা নেন। তাকে সহায়তা করেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে 'ধ্রুবতারা' উড়োজাহাজটির বাণিজ্যিক যাত্রার উদ্বোধনকালে নতুন নতুন উড়োজাহাজের নামকরণ প্রসঙ্গে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
‘পালকি, অরুণ আলো, আকাশপ্রদ্বীপ, রাঙ্গা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খী, আকাশবীনা, হংসবলাকা, গাঙচিল, রাজহংস, অচীন পাখি, সোনার তরী ও ধ্রুবতারা।’ সবগুলোই রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (উড়োজাহাজ) নাম।
‘ধ্রুবতারা’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধ্রুবতারা আমাদের দিকনির্দেশনা দেয়। চলতি বছর আমরা জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি, আসন্ন নতুন বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নাম পছন্দ করা। আমাকে সহায়তা করেছে শেখ রেহানা।
শেখ হাসিনা জানান, ক্ষমতায় থাকার সময় তো বটেই, ক্ষমতায় না থাকাকালেও তিনি রাষ্ট্রীয় বিমানে চড়তেই পছন্দ করেন। প্রবাসীরা নিজ দেশের বিমানকেই প্রাধান্য দেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় বিমানের দুরবস্থা ছিল। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তেমন সুযোগ সুবিধা ছিল না। এই সরকারের আমলেই নতুন নতুন উড়োজাহাজ কেনাসহ বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে ক্রয় করা তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ‘ধ্রুবতারা’। কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত, ৭৪ আসনবিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ।নতুন উড়োজাহাজটি সংযোজিত হওয়ায় বিমানবহরে বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯টি।