শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করল সরকার
প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বেসরকারিভাবে চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এদিন চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকারি পদক্ষেপসমূহ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেই আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

তিনি বলেন, বৈধ লাইসেন্সধারীদের আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। মন্ত্রণালয় থেকে যাকে যতটুকু ছাড়পত্র দেয়া হবে, সে অনুযায়ী এলসি হবে। সেটা আমরা মনিটরিং করব।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন জিটুজি পদ্ধতিতে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে।

দাম না বাড়ালে চাল না দেয়ার বিষয়ে মিলারদের হুমকি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কারও হুমকিতে মাথানত করে না। আমরা মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি। তারা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজন আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে কিনব। যাতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দরকার হলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কিনব।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বেসরকারিভাবে যখন যতটুকু আমাদানি করা প্রয়োজন করব। বোরো মৌসুম আসার আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেটাও করব। বোরো মৌসুমে এ অবস্থা থাকলে আবার আমদানি করব।

তিনি বলেন, আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছি। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা। বাইরে কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হলে সরকারের কাছে বিক্রি করে না। আজও বাইরে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। আমাদের চালের রেট বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সহনীয় রেট কী করা যায়, সেটার কোনো নীতিমালা নেই। ধানের দাম কমলে আমরা কৃষকের জন্য হাহাকার করি। আবার চালের দাম বাড়লেও হাহাকার করি।

স্ট্যান্ডার্ড রেট ঠিক করতে নীতিমালা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই একটা স্ট্যান্ডার্ড রেট থাকতে হবে। এ জন্য সহনশীল স্ট্যান্ডার্ড রেট তৈরি করতে হবে। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। আমরা কমিটিও করেছি। তারা নীতিমালা তৈরি করতে কাজ করবে। আর সেটা চূড়ান্ত হলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আবাদি জমি ঠিক থাকলেও আম্ফানের কারণে এবার ফলন কম হয়েছে। তবে দেশ ধান-চালের ঘাটতি আছে, তা বলছি না। আমাদের সরবরাহ সিস্টেম আছে। দেশে প্রায় ২০ হাজার মিল আছে। মিলপ্রতি গড়ে ৫০০ মণ ধান প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। কোথাও আবার ১ হাজার মণও থাকে। হিসাব করলে ৩০ লাখ মেট্রিকটন টন চাল থাকে। সবাই মনে করে আমাদের কমতি আছে। কিন্তু তা নয়।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]