প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
পূর্বধারণার চেয়েও দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে চীন। পশ্চিমাদের তুলনায় করোনাভাইরাস মহামারি ভালোভাবে মোকাবিলা করছে চীনারা। এর জেরেই পূর্বনির্ধারিত সময়ের পাঁচ বছর আগে মার্কিনিদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে তারা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক পরামর্শক সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল শনিবার সিইবিআরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৮ সালেই বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি পরস্পরের সঙ্গে জায়গা বদল করবে। সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের মধ্যে চীন উচ্চআয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০৩৫ সালেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির খেতাব থাকবে তাদের দখলে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মাসে জানিয়েছিলেন, তার পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণ করা ‘খুবই সম্ভব’। তার ওই পরিকল্পনায় আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ‘আধুনিক সমাজতন্ত্র’ অর্জনের কথা বলা হয়েছে। সিইবিআর বলছে, বিশ্বে সবার আগে করোনাভাইরাস মহামারির আঘাত লেগেছিল চীনের অর্থনীতিতে। কিন্তু দ্রুতই তারা সেটি পুনরুদ্ধার করেছে। একারণে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত এশিয়ায় কী হচ্ছে সেদিকে আরও বেশি মনযোগ দেওয়া।
দ্রুত অর্থনৈতিক শক্তি শুধু চীনেই বাড়ছে না, সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে এশিয়ার আরেক দেশ ভারতও। বর্তমানে ছয় নম্বরে থাকলেও আগামী এক দশকের মধ্যে তারা হয়ে উঠবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। জাপান বর্তমানে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও ২০৩০ সালে তারা নেমে যাবে চতুর্থ অবস্থানে। এশিয়ার উন্নয়নে অবনমন ঘটবে পশ্চিমা শক্তিগুলোর। জার্মানি-যুক্তরাজ্য বর্তমানে চার ও পাঁচ নম্বরে থাকলেও এক দশক পরে তাদের অবস্থান হবে যথাক্রমে পাঁচ ও ছয়ে।
সিইবিআরের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আমরা সাধারণত নিজেদের পশ্চিমা অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে তুলনা করি। সেক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে ভালো, বিশেষ করে এশিয়ার দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতিগুলো বাদ পড়ে যায়। সূত্র: ব্লুমবার্গ