প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৪০ পিএম আপডেট: ২৭.১২.২০২০ ১:০৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লার উন্নয়ন কাজ নিয়ে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র হয়েছে সব সময়। সেই পাকিস্তান শাসনামলের শুরু থেকে যখনই কুমিল্লা এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নতুন উদ্যোমে সামনে চলার চেষ্টা করেছে, তখনই এক শ্রেণির প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বার্থান্বেষী মহল উঠে পড়ে লাগে কুমিল্লাকে পিছিয়ে দিতে। এরা খন্দকার মুশতাকের উত্তরসূরি ও তাদের প্রেতাত্মা। স্বাধীনতার পর গত ১২ বছরে কুমিল্লা সদরে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা আর কখনও কুমিল্লাবাসীর চোখে পড়েনি। কুমিল্লার উন্নয়নের রূপকার, গণমানুষের নেতা, কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের নেতৃত্বে কুমিল্লার আনাচে-কানাচে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। এ জন্য ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে পুরানো শকুনের দল, খন্দকার মুশতাকের প্রজন্ম।
এসব ষড়যন্ত্রকারী ও চক্রান্তকারীরা কেবল কুমিল্লাতেই নয়, সক্রিয় রয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। তাদের মিথ্যা ও অসত্য তথ্যের ফাঁদে পড়ে লাফ-ঝাপ করছে এক শ্রেণির তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, এদের অনেকেই জীবনে হয়তো কুমিল্লার মাটিতে পাও রাখেনি। তাইতো কুমিল্লার উন্নয়ন এদের চোখে পড়েনি। সম্প্রতি জরাজীর্ণ-ভঙ্গুর প্রায় কুমিল্লা গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন আধুনিকায়ন প্রশ্নে যেখানে কুমিল্লার গণমানুষ তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে প্রায় মীমাংসিত ইস্যুটিকে নেতিবাচক প্রচারণায় নিয়ে প্রপাগা-া চালাচ্ছে। স্থানীয়, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও কয়েকটি ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় মিথ্যাচার হয়েছে। অসত্য ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে কুমিল্লাবাসীর প্রাণের নেতা জননেতা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ভাইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কয়েকদিন আগে কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন আধুনিকায়ন প্রশ্নে কুমিল্লা ও ঢাকায় বসবাসরত কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লাগে যেন কুমিল্লাবাসী উন্নয়নের ছোঁয়া না পায়, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়। ওই মহল বিশেষ অপপ্রচার চালায় ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা বীর চন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন ভেঙে কমার্শিয়াল ভবন তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায় স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, অথচ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য হাজী বাহার যে ডিও লেটার দিয়েছেন তাতে সেখানে কি ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন পুনঃনির্মাণ করতে চান তার বিস্তারিত বর্ণনা বিধৃত ছিলো। জরাজীর্ণ, পুরানো ও ভঙ্গুর প্রায় মিলনায়তনটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা ও কুমিল্লায় মতবিনিময় করেছেন জননেতা হাজী বাহার। জনতা তার পক্ষে রায় দিয়েছেন। সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কুমিল্লায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কুমিল্লাবাসী স্পষ্টত তাদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে। তারা কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন পুনঃনির্মাণ করে সেখানে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কমপ্লেক্স নির্মাণ চায়। সেদিন হাজার হাজার কুমিল্লাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জননেতা হাজী বাহারের নেতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রদর্শন করেছে আবার। সরকারের প্রতিনিধি দলও কুমিল্লাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছে। বিষয়টি এখন সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল পর্যায়ে বিবেচনায় রয়েছে। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই কুমিল্লাবাসী সুসংবাদ পাবো।
কুমিল্লাবাসীর জন্য জননেতা হাজী বাহার এমপি দিনরাত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুমিল্লা সদরের এমন কোন স্থান নেই যেখানে বিগত ১২ বছরে উন্নয়নের ছাপ পড়েনি। এমপি বাহার সমতাভিত্তিক উন্নয়ন সাধন করেছেন। বিগত ১২ বছরে তিনি যে উন্নয়নের স্মারক প্রতিস্থাপন করেছেন তাতে অনেকেরই গাত্র দাহ শুরু হয়ে গেছে। শুরু করেছে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা, তার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল নির্ধারণ। তাতেও সফলতা না পেয়ে তারা নিছক একটি বিষয়কে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। একটি রাস্তাকে প্রশস্ত করতে গিয়ে মাত্র কয়েক ফুট পাহাড় কাটা পড়ায় সব দোষ তার উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের চাহিদাপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে যথারীতি সম্পন্ন করার পথে পাহাড়ের কিছু অংশ কাটতে বাধ্য হয়- যাতে রাস্তা প্রশস্ত হয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। অতীতে নানা কারণে পাহাড় কাটা হয়েছে। জনচলাচল, পরিবহন চলাচল, বিশ্ববিদ্যালয়/বিদ্যালয় নির্মাণ, পার্ক, বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণেও অবাধে পাহাড় কাটা পড়েছে, জনকল্যাণেই পাহাড় কাটতে হয়েছে, সম্প্রতি কুমিল্লার দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেও বৃহত্তর প্রয়োজনে মাত্র কয়েক ফুট পাহাড় কাটতে হয়েছে, আর তাতেই এতো গা-জ্বালা। কারণ একটাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দু’টি স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী বাহারের ঘনিষ্ঠ। কয়েকটি মিডিয়ায় তার বক্তব্যকে বিকৃত করে, আংশিক ও খন্ডিত বক্তব্য প্রচার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তার মতামত না নিয়ে পরিবেশ অধিদফতরে রিপোর্ট করা হয়েছে, অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তার বক্তব্য নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ও শিষ্টাচার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। অযোচিতভাবে কেবলমাত্র তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতেই কতিপয় মিডিয়াকে নগ্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি যা বলেননি বা করেননি তাই প্রচার করে তার ভাবমূর্তি নষ্ট ও কুমিল্লার উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করার হীনচেষ্টা করা হচ্ছে। কুমিল্লার মানুষ কখনও অযাচিত দালালি মানবেনা, কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেবে না। কুমিল্লাবাসীর নিজস্ব অধিকার রয়েছে কুমিল্লার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কুমিল্লাবাসী তাদের প্রাণের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রক্ত দিবে, তবুও কুমিল্লার উন্নয়নের প্রশ্নে কোন ধরনের আপস করবে না।