প্রকাশ: রোববার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত উড়োজাহাজ প্রথম ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ধ্রুবতারা প্লেনটি ছাড়াও গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ২০টি ফায়ার স্টেশন, জেলা সদরে নবনির্মিত ৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কেরানীগন্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং একটি এলপিজি স্টেশন উদ্বোধন করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউন্জ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
উল্লেখ্য, কানাডার প্রখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ৭৪ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। এ উড়োজাহাজের এইইপিএ (হাই-ইফিশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার) ফিল্টার প্রযুক্তি মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে করে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ, যা যাত্রীদের করবে অধিকতর সতেজ ও নিরাপদ। এছাড়াও এ উড়োজাহাজে রয়েছে পর্যাপ্ত লেগস্পেস, এলইডি লাইটিং ও প্রশস্ত জানালা, যে কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক।
ধ্রুবতারাসহ বিমানের উড়োজাহাজ বহরে ইতোমধ্যে যুক্ত হওয়া প্রতিটি উড়োজাহাজের নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে কেনা ৩টি উড়োজাহাজের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ দুটি যথাক্রমে আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিমান বহরে যুক্ত হবে। নতুন উড়োজাহাজ বহরে সংযোজনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যসমূহে বিমানের সাপ্তাহিক ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করা হবে।