প্রকাশ: শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছোট ভাইয়ের কাছে দোকানের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের দায়ের কোঁপে বড় ভাইকে হত্যা করা হয়েছেবৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হলে ছোট ভাই তাকে কুপিয়ে যখম করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বড় ভাইকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মোংলা বন্দরের বুড়িরডাঙ্গার দ্বিগরাজ এরাকার রাইস মিল সংলগ্ন বিপরীত দিকে এঘটনা ঘটে। এব্যাপারে মোংলা থানায় হত্যা মামলার দায়ের হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মোংলা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সেকেন্ড অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, মোংলা বন্দর সংলগ্ন দিগরাজ বাজারের মোঃ আজম (৫২) একজন মুদি ব্যাবসায়ী। ওই দোকান থেকে আপন ছোট ভাই মোঃ শেখ ফরিদ তার দোকান থেকে বাকীতে মালামাল ক্রয় করতো। দোকান থেকে বাকী নেয়ায় বেশ কিছু টাকা পাওনা হয় বড় ভাই আজম। দোকান বন্ধ করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় গিয়ে ছোট ভাইয়ের কাছে দোকানের পাওনা টাকা চাইতে যায় বড় ভাই। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাক-বিতান্ডায় জড়িয়ে পরে উভয় ভাইয়ের পরিবারের লোকজন।
থানার সেকেন্ড অফিসার আরো বলেন, ঝগড়ার এক পযার্য়ে ছোট ভাই শেখ ফরিদ ও তার ছেলে ইয়াসিন তাদের ঘরে থাকা দাঁও ও সাবল দিয়ে দিয়ে বড় ভাইর মাথার আঘাত করে। এতে বড় ভাই শেখ আজমের মাথার বাঁ পাশে ও পায়ে মারাত্মক জখম হয় এবং পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলী কেটে পড়ে যায়। এসময় আজমের পরিবারের লোকজনের ডাক চিৎকারে পার্শবর্তী লোকজন ছুটে এসে তাৎক্ষণিভাবে তাকে উদ্ধার করে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থা অবনতী হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকায় নেয়ার পথে বিকেলে বাগেরহাটের ফকিরহাট নামক এলাকায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আজম শেখ দ্বিগরাজ এলাকার মৃত শেখ বেলায়েত হোসেন’র বড় ছেলে।
শনিবার সন্ধ্যায় মোংলা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
দ্বিগরাজ এলাকায় হত্যা কান্ডের বিষয়ে মোংলা থানার ওসি তদন্ত তুহিন মন্ডল জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আজম শেখ’র ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে আপন ছোট চাচা শেখ ফরিদ (৪৫) ও চাচাতো ভাই (ফরিদের ছেলে) শেখ ইয়াসিন (২৫)সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে হত্যামামলা দায়েরে করা হয়েছে। যার মামলা নং-১৫। তবে ঘটনার পর পরই আসামীরা পলাতক থাকায় এখনও এ ঘটনায় কেউকে আটক করা সম্ভব হয়নি তবে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি তদন্ত তুহিন মন্ডল।