প্রকাশ: শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৪৯ বছর পূর্তি পেরিয়ে ৫০ বছরে পদার্পণে আমরা বিগত বছরের অনেক অর্জনের জন্য গর্ববোধ করতে পারি। এই ৪৯ বছরে আমাদের অন্যতম প্রধান অর্জন আমাদের সফল নেতৃত্বের একমাত্র অধিকারী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়ার মনোবলকে। আর এই আত্মবিশ্বাসের স্পষ্ট প্রতিফলন এই করোনা মহামারী সময়েও বাংলাদেশ সকল সূচকে এগিয়ে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে এই প্রমাণ করে যে, সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ছেন শেখ হাসিনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২০০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (ব্রুনায় হালাল ফুডস), ব্রুনায় এর সিইও, ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা, অস্ট্রেলিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রনেতা ড. নূর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) এর প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ আলী খোকন, বেসিস এর সভাপতি, এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ডিজিটালাইজেসনের যে অবদান আমাদের এই বাংলাদেশে বর্তমানে দেখছি তা ভবিষ্যতে আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। করোনা মহামারীতে যখন সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছিল, ইউরোপ থেকে শুরু করে আমেরিকা পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখে গিয়েছিল, যখন মার্চ মাসে এই করোনা বাংলাদেশে তার রূপ প্রকাশ করে তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি আতঙ্কের মধ্যে ছিল। আমরা ভেবেছিলাম করোনার কারণে দেশে একটা বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসতে পারে। আজকে আমি একটা কথা বলতে চাই যে, আল্লাহ নিজেই বলেছেন, যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে না, আল্লাহ সেই জাতিকে সাহায্য করেনা। যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করে আল্লাহ নিজেই সেই জাতিকে সাহায্য করে। সে হিসেবে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যিনি আমাদের এই জাতিকে ঘুরে দাঁড়াবার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে বর্তমান পরিস্থিতিতে আনার জন্য উনার মেধা, উনার পরিশ্রম, দূরদর্শিতা এবং এই মহামারির সময় উনার যেসকল সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নের জন্য যে সাহসিকতা তিনি দেখিয়েছেন সেজন্য স্বয়ং আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছেন। গত এক যুগে শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থানে মূল ভূমিকা পালন করছে। এই সময়কালে দেশের অর্থনীতি তরতর করে এগিয়ে গেছে, তিনগুণেরও বেশি বড় হয়েছে জিডিপি। মহামারি করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অন্যান্য যে কোন দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ঘটছে। অর্থনীতিকে এমন সচল ও চাঙ্গা রাখার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ভূমিকা পালন করেছে। জরুরি পরিস্থিতিতে বড় মাপের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দ্বার উন্মুক্ত করার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বাজিমাত করেছেন। এর ফলে মহামারিকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। ২৫ মার্চে লকডাউন, ২৮ তারিখে ঘোষণা এবং পরবর্তীতে ৮ তারিখের পর পর উনার বক্তব্যের মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে। এই প্যাকেজ গুলো কিভাবে বিতরণ হবে, কিভাবে গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকবে কিভাবে ব্যাকওয়ার্ড-ফরওয়ার্ড হবে এইগুলো নিয়ে উনি একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিলেন যার সাত জন মেম্বারের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। কিভাবে এই প্যাকেজের সুষম বণ্টন হবে তার একটি আলোচনার ফলে আমরা এই করোনা মহামারির সময় একটি সুন্দর একটি পর্যায়ে চলে গিয়েছিলাম।