সুমহান মুক্তিযুদ্ধের দৃঢ়চেতা বিশ্বাস আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের একমাত্র জাতীয় দৈনিকের নাম ভোরের পাতা। কেননা বাংলাদেশের কোনো জাতীয় দৈনিকের অফিসে বঙ্গবন্ধু কর্নার গড়ে উঠেনি এর আগে। দীর্ঘ ১৬ বছরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে পাঠক প্রিয় এই দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে কাজ করছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি। কর্মপ্রাণ এই মানুষটি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চরম আস্থাশীল বলেই, বৈশ্বিক মহামারি করোনার শুরুতেই ‘ভোরের পাতা সংলাপ’ নামে একটি অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেন।
যেই ভাবনা সেই কাজ। পৃথিবীর তখন বড্ড বড় অসুখ হয়েছিল। এই অসুখের কারণে থমকে গিয়েছিল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনার করাল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার শুরুতে আমাদের ঘরেই থাকতে হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জন্য তিন দফায় ৬৪টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা মেনেই বাংলাদেশের মানুষ ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিকে সামাল দিয়েছিল। একই সাথে জীবন-জীবিকা যেন চলতে পারে, অর্থনীতির গতিপথ যেন ঠিক থাকে, সেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনই ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনায় শুরু হয় ভোরের পাতা সংলাপ। সেই থেকে শুরু, সোমবার দৈনিক ভোরের পাতা সংলাপের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছে। এই সংলাপের শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ভোরের পাতা সংলাপের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। এই অনুষ্ঠানটি দেশের পত্রিকার ইতিহাসে নতুন এক অনন্য রেকর্ড বলে মনে করেন তিনি। ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, এই বছরটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। এই বছরটিকে উদযাপনের জন্য নানা আয়োজন হাতে নেওয়া হয়েছিল। লোক সমাগম ঘটবে এমন সব আয়োজনই বাতিল করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে দৈনিক ভোরের পাতার পক্ষ থেকে অনলাইনে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হচ্ছে একটি অর্থবহ সংলাপের। যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ থেকে শুরু করে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার, দলের ভূমিকা নিয়েও নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান আরো বলেন, ‘ভোরের পাতা সংলাপটি শুরু হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ২০০ দিন আগে। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে ভোরের পাতা সংলাপ অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি পর্ব পার করলো। এই ভোরের পাতা সংলাপে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ উঠে এসেছে বারবার। করোনায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাজগুলোরও বিষদ আলোচনা হচ্ছে। দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক চিত্রই ফুটে উঠছে ভোরের পাতা সংলাপে। এই সময়ে দেশের অনেক মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ক্রীড়াঙ্গনের তারকা, কোচ, সংগঠক এমনকি বিনোদন জগতের তারকাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিনোদন ও সংগীত জগতের তারকারা। শুক্রবার ধর্ম ও মানবিকতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদরা। এছাড়া বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যুতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আলোচনা করেছেন জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, করোনাকালীন সময়ে দেশের অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। দেশের বাইরে থেকে প্রবাসী কর্মবীর মানুষদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে এই সংলাপে। ভোরের পাতা সংলাপে মুখর ছিল স্বাধীনতার পক্ষের চেতনার জয়গান। বিনোদন জগতের তারকারা এসে আড্ডা দিয়েছেন ভোরের পাতার সংলাপে। সেখানে তারা বলেছেন, কিভাবে এই সংকটকালীন সময়ে নিজেরা কাজ করেছেন। এছাড়া সংগীত শিল্পীরাও গান পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। এমনকি খেলাধুলার সাথে জড়িত তারকা ক্রিকেটার, কোচ, সংগঠক এবং ক্রীড়া সাংবাদিকদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান জানান, করোনার কারণে আমি নিজেই চার মাস ধরে ঘরেই ছিলাম। কিন্তু এই সময়ে দেখেছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন দেশের মানুষকে ভালো রাখতে। তখন তিনি প্রতিদিনই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলায় জেলায় কথা বলছেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিচক্ষণতা নিয়ে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ডিজিটাল প্লাটফর্মে এই সংলাপের আয়োজনের কথা চিন্তা করি। শুরু থেকেই আজ অবধি ভোরের পাতা সংলাপে যেসব অতিথি আলোচক হিসাবে যোগ দিয়েছেন, আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রথম দিকে এই অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বেলাল হোসাইন, পরবর্তীতে রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সঞ্চালনা করছেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ। আমি তার কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এছাড়া ইসলামী বিষয়ক আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন মিরাজ রহমান, ক্রীড়া বিষয়ক সঞ্চালক আহমেদ রাকীব এবং বিনোদনের সঞ্চালক শামীমা তুষ্টিও ছিলেন। আমি দেশ বিদেশের ভোরের পাতা সংলাপের সকল দর্শক শ্রোতাদের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এই অর্থবহ সংলাপটির সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন ড. কাজী এরতেজা হাসান।