প্রকাশ: শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০৪ এএম আপডেট: ২৬.১২.২০২০ ১১:০৭ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
মুসলিম
প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে ইসরায়েল। এ
বিষয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই চারটি মুসলিম দেশ সম্পর্ক
গড়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে। আগামী ২০ জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে আরও দু’টি মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে
চায় বলে জানিয়েছে এক ইসরায়েলি মন্ত্রী। এদিকে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সম্পর্ক গড়তে রাজী নয়। গত
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়,
‘ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান আগের মতোই আছে।’ অর্থাৎ
ফিলিস্তিনিদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং মুক্তির পক্ষেই বাংলাদেশ। চলতি বছর
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ৪টি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক
স্বাভাবিক করে ইসরাইল। দেশগুলো হলো-সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং
মরক্কো। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিচ্ছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ইসরাইলি আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়কমন্ত্রী
ওফির আকুনিস জানান, হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের বিদায়ের আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠ
৫ম মুসলিম দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে তেল আবিব।
ওই
কর্মকর্তা বলেন, আরও দেশ যাতে ইসরাইলের অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেয় সে লক্ষে
কাজ করছেন তারা। আকুনিস বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য
সংখ্যাগরিষ্ঠ দুটি দেশ এখন তালিকায় রয়েছে। দেশ দুটির নাম তিনি প্রকাশে
করেননি। বলেন, একটি উপসাগরীয় রাষ্ট্র, সেটি ওমান হতে পারে। তবে সৌদি আরব
নয়। আরেকটি পূর্ব এশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। সম্প্রতি পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা ইসরাইল সফর করেন বলে খবর প্রকাশ হয়। ধারণা করা
হচ্ছিল আমিরাত, সৌদি আরবের চাপে পড়ে ইসরাইলকে স্বীকৃতি এবং দেশটির সঙ্গে
সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। পরে পাকিস্তান জানায়, ফিলিস্তিন
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়। এদিন ইসরাইলি
মন্ত্রীও জানান, দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাওয়া পরবর্তী মুসলিম
দেশ পাকিস্তান নয়। সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। গেল
সপ্তাহে তারা জানায়, ইসরাইলকে তারা স্বীকৃতি দেবে না। ফিলিস্তিনি ভাইদের
অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে তাদের অবস্থান অটল বলেও জানানো হয়। মালয়েশিয়াও একই
ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে
আমাদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়। বুধবার সিনেট অধিবেশনে তিনি আরও বলেন,
ইসরাইলের বিষয়ে অন্য কোনো দেশ কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাতে মালয়েশিয়া
হস্তক্ষেপ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক
স্থাপনকে স্বাগত জানিয়েছে ওমান। তবে নিজেরা সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে
কিনা, এমন প্রশ্নে মন্তব্য করেনি দেশটি। ২০১৪ সাল থেকে ইসরাইলের সঙ্গে
ফিলিস্তিনের সমঝোতা আলোচনা স্থগিত হয়ে আছে। ইসরাইলের সঙ্গে অন্য মুসলিম
দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া, স্থগিত আলোচনাকে আরও দূরে
সরিয়ে দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।