প্রকাশ: শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:০৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
গত ১৪ জুলাই রাজধানীর কদমতলী এলাকায় একটি বাসার বাথরুমে পানিভর্তি বালতির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১ বছর ৭ মাস বয়সী জারার লাশ। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের পর গত সপ্তাহে শিশুটির লাশ রাজধানীর জুরাইন কবরস্থান থেকে তোলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
জারা খুন হয়েছে বলে দাবি তার স্বজনদের। এ ঘটনায় জারার মা মৌসুমী আক্তারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
জারার মৃত্যু খুবই রহস্যজনক উল্লেখ করে ঘটনার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর। মৃত্যুরহস্য জানার জন্য যত ধরনের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন, সেগুলো সবই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর জারা খুন হয়েছে দাবি করে চাচা মোহাম্মদ নূর বলেন, অতটুকু বাচ্চা ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। দরজা বন্ধ করে তার মা ঘুমাচ্ছিল। তাহলে সে কীভাবে অত গভীর রাতে বাথরুমের ভেতর যাবে। আমরা মনে করি, জারাকে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
মৌসুমী আক্তার তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কদমতলী এলাকার কমিশনার রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। জারার বাবা আলী হোসেন সৌদি আরবে কাজ করেন।
১৪ জুলাই জারাকে বাসার বাথরুমে পানিভর্তি বালতির ভেতর পাওয়া যায়। পরে তাকে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে জারাকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় জারাকে খুন করার অভিযোগ এনে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়। গত ২৭ অক্টোবর জারার মা মৌসুমী আক্তার ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় পলাতক আছেন মৌসুমী আক্তারের কথিত প্রেমিক জামাল হোসেন (৩৮)।
পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে মৌসুমীকে দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কদমতলী থানা-পুলিশ। গত ১৪ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।