#বঙ্গবন্ধু দেশে সম্প্রীতির নজির গড়ে গিয়েছিলেন: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
#স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশে সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুনিশ্চিত হয়েছে: গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
#জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম: অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা।
#যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় পরিচালিত হচ্ছে: ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়।
#মৌলবিরা শুধু দেশের মধ্যেই উগ্রবাদী বক্তব্য দেয়: জামাল আহমেদ খান।
২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে দেশের সবগুলো গির্জা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। তা দেখতে অনেকে ভিড় করছেন গির্জাগুলোতে। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট আজকের (২৫ ডিসেম্বর) এই দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সাম্প্রদায়িক চেতনাকে রুখে দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে। তাই বলা যায়, ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এবং সাবেক ছাত্রনেতা জামাল আহমেদ খান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমরা এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছি যে দেশটি চেতনার দিক থেকে সহজিয়া ও অসাম্প্রদায়িক। আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তারা একটা বিশেষ ধর্মের অনুসারী। এই ধর্মটির শুরু যেটা আমরা মার্স কনভার্সন বলি সেটা হয়েছিল ১২০৩-১২০৪ সনে। কিন্তু এই ধর্মের সুবাতাস বয়েছিল সেই সপ্তম শতকে। ৩২৫ খ্রিস্টাব্দ হতে শুরু করে প্রতি বছর গোটা বিশ্বের খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মতিথি পালন করে আসছেন। আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের বিবেচনায় খ্রিস্টের পুনরুত্থান উৎসবই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং মণ্ডলীর শুরু থেকে যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থান পর্ব বা ইস্টারই সবচাইতে বড় পর্ব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে খ্রিস্ট মাস বা বড়দিনটিই বেশি জাঁকজমক ও আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। যিশুখ্রিস্টকে খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা মানবজাতির কাছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ত্রাণকর্তা বা মুক্তিদাতা বলে বিশ্বাস করেন। তাই তাঁর জন্মদিন পালন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বে সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐতিহ্যগত পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে বড়দিন উৎসব উদযাপনের রূপটিও ভিন্ন হয়ে থাকে। উপহার প্রদান, সংগীত, খ্রিস্ট মাস কার্ড বিনিময়, গির্জায় ধর্মোপাসনা, ভোজ এবং ক্রিসমাস ট্রি, আলোকসজ্জা, যিশুর জন্মদৃশ্য অঙ্কন এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনী আধুনিককালে বড়দিন উৎসব উদযাপনের অঙ্গ।
গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই ভোরের পাতাসহ আমন্ত্রিত সব অতিথিদেরকে। আজকে ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠীকে শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই। শুভেচ্ছা জানাই আমাদের জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আজকের অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টি হলো ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই মাসটি ডিসেম্বর মাস, এই মাসটিতেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন পরিচালিত হচ্ছে। আজকের এই দিনে তারই মূল মন্ত্র হলো ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এটাকে কেউ কেউ বিকৃত করে নানাভাবে তুলে ধরছে। আমি বাংলাদেশে মাইনরিটি একজন সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর আমাদের এই দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্ম দিয়েছেন আরেকটিবার মহান জাতীয় সংসদে। দীর্ঘ দিন যাবত সংসদে ছিলেন আমাদের একজন প্রয়াত সাবেক সাংসদ সদস্য প্রমোদ মানকিন। তারই সুযোগ্য পুত্র জুয়েল আরিফ তিনি আছেন এখন। আমার খ্রিস্টান দুইজন আছি এখন সংসদে, একজন বাঙালি, একজন উপজাতি। এই যে আমরা দু’জন মহান সংসদে জায়গা পেয়েছি এটাও আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি অনন্য উদাহরণ। আজকের এই মাসে আমরা বিজয় পেয়েছিলাম এবং এটা সুনিশ্চিত করেছেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে গির্জায় গির্জায় বেড়ানো, অতিথি আপ্যায়ন আর আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়েই কেটে যায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে আনন্দের দিন, বড়দিন। সবাই একে অপরের সাথে বড়দিনের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের আয়োজন নিয়ে চলে মিডিয়ার সম্প্রচার। রাজধানীর বিভিন্ন গির্জার প্রার্থনা, আর রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোর বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা সত্যিই নান্দনিক হয়ে ওঠে। আজকে এই বড়দিন বলেন, দুর্গাপূজা বলেন আর ঈদ বলেন; এই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই বাংলাদেশে সুনিশ্চিত করেছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে।
অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা বলেন, প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই ভোরের পাতাকে যে এই রকম একটি সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য। আমার জন্ম হয়েছে ১৯৬২ সনে, আমি যদি সে সময়ের চেতনা থেকে বা স্মৃতির থেকে স্মরণ করে বলি তাহলে আমার মনে হয় না। সে সময় ছিল পাকিস্তানের কিছু দিন ও বাংলাদেশের প্রথম দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যখন যুদ্ধ হয়েছিল তখন কি কেউ ধর্ম ভিত্তিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেছিল। যারা মুক্তিকামী মানুষ ছিল যারা দেশকে ভালোবেসেছে, নিজের ধর্মকে ভালোবেসেছে, নিজের দেশের স্বাধীনতাকে ভালোবেসেছে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক ডাকে সাড়া দিয়ে। তিনি সে সময় আহ্বান করেছিলেন, দেশ গড়ার জন্য, মানুষ ও জাতিকে ভালোবাসার জন্য। সে সময় তার ডাকে সাড়া দিয়ে সব ধর্মের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই একত্রে সবাইকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি এই দেশটাকে আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। এই আমাদের বাংলাদেশে যখন বস্ত্র দান করা হয় তখন কি ধর্ম দেখে দান করা হয়? যখন যাকাত দেওয়া হয় তখন কি ধর্ম দেখে যাকাত দেওয়া হয়? দরিদ্র শ্রেণির জনগোষ্ঠী দেখে যাকাত দেওয়া হয়। যিশুকে স্রষ্টার প্রেরিত পুরুষ হিসেবে মুসলমানরাও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। তিনি সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বর্তমান সরকার এই সম্প্রীতি রক্ষায় সচেষ্ট, যদিও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা মৌলবাদের উত্থানকে নিশ্চিত করছে। তবে খ্রিস্টানসহ প্রতিটি ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার যাতে ভোগ করতে পারে বর্তমান সরকার সে ব্যবস্থাই করবে- এটাই এবারের বড়দিনে সকলের প্রত্যাশা।
ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। প্রিয় দেশবাসীকে প্রিয় বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই দিন মানবজাতির মুক্তি দাতা প্রভু যিশু খ্রিস্টের শুভ জন্মতিথি। প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল মানুষকে পাপ অন্যায় থেকে মুক্তি দিতে। তিনি সুস্থতা দান করেছিলেন অগণিত রোগাক্রান্ত নারী-পুরুষদেরকে। ভালোবাসা, সেবা, মানুষের ন্যায্যতা দিয়ে তিনি নতুন মানব সমাজ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে জাতীতে-জাতীতে রেষারেষি, বৈষম্য, হানাহানি দেখতে পাচ্ছি। এমনি সময়ে ২০২০ সালে আবারো নতুন করে এলো শুভ বড়দিন। আমরা জানি ২০২০ যিশু খ্রিস্টের ৫০০ বছর পূর্বে মহামতি গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব হয়েছিল এবং যিশু খ্রিস্টের ৫০০ বছর পরে ইসলাম ধর্মের আগমন হয়েছিল। তার আগে ভারত বর্ষে সনাতন ধর্ম ছিল যাকে এখন হিন্দু ধর্ম বলা হয়। এছাড়া আরও অনেক ছোট বড় ধর্মের লোক নিয়ে আমরা বর্তমান বাংলাদেশে একত্রে বসবাস করছি। আজকে একটা সুন্দর বিষয় নিয়ে আজকের সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যুগ যুগ ধরে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় পরিচালিত হয়েছে। আমরা দেখেছি ভাষা আন্দোলন। এখানে একটা ভাষার জন্য অনেকেই আন্দোলন করেছি। এখানে কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ- এর কোন ভেদাভেদ ছিলো না। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেখানেও আমরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ পরিচালিত হয়ে আসছে তার ব্যত্যয় আমরা মাঝে মাঝে দেখেছি। আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তিনি যথার্থই বলেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। প্রতিটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে তাই এক মহামিলন ঘটে সবার। এবারের বড় দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করে করোনা পরিস্থিতিতে অন্যরকম এক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামাল আহমেদ খান বলেন, আজকে আমরা লন্ডনে করোনার সময় অনেক কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি। আমি যে দেশে এখন আছি এই দেশটা ইসলামিক না। আমাদের দেশটা ৪টি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে স্বাধীন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিছু দিন আগেও আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এইদেশের যুদ্ধের সময় শুধু মুসলমানরাই যুদ্ধ করেন নাই, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশটা স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। আজকে এই দেশের মৌলবিরা একটা বিতর্ক সৃষ্টি করছেন তারা তো কখনো দেশের বাইরে আসলে ধর্মের নামে বিতর্ক সৃষ্টি করেনা। তারা যখন বাংলাদেশে থাকে তারা তখন ধর্মের নামে উস্কানি বক্তব্য দেই আর বাহিরে গেলেই তাদের রূপ পাল্টে যায়। তার যে দেশেই যায় সে দেশের রূপ ধারণ করে ধর্মীয় বক্তব্য দেয়। ধর্ম তো সব জায়গায় একই। বাংলাদেশে যেমন, লন্ডনেও তেমন। কিন্তু এই হুজুররা যখন আমদের লন্ডনের মাটিতে ওয়াজ করে তখন তো তাদের ওয়াজ বাংলাদেশের মত এতো উগ্রবাদী হয় না। মুক্তিযুদ্ধে আমরা সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে এ দেশের মাটিতে। সব ধর্মের মানুষ তাদের এ দেশটিতে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ধর্মের নামে বিভক্তি কখনোই প্রত্যাশিত ছিলনা ভবিষ্যতেও থাকবে না। আমরা এইভাবে একতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে সবার উপরে থাকবো ইনশাআল্লাহ।