প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার উন্নয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে সবসময়। সেই পাকিস্তান শাসনামলে হতে যখনই কুমিল্লা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে এক শ্রেণির প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বার্থান্বেষী মহল উঠেপড়ে লেগেছে কুমিল্লাকে পিছিয়ে দিতে। এরা খন্দকার মুশতাকের উত্তরসূরী, তার প্রেতাত্মা। স্বাধীনতার পর গত ১২ বছরে কুমিল্লা সদরে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা আর কখনো কুমিল্লা বাসীর চোখে পড়েনি। কুমিল্লার উন্নয়নের রুপকার, কুমিল্লার গণ মানুষের নেতা, কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের নেতৃত্বে কুমিল্লার আনাচে- কানাচে প্রভূত উন্নতি সাধিত সাধিত হয়েছে। এ' জন্য ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে পুরনো শকুনের দল,খন্দকার মুশতাকের প্রজন্ম।
এ' ষড়যন্ত্রকারী ও চক্রান্ত কারীরা কেবল কুমিল্লা তেই নয়,সক্রিয় রয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। তাদের মিথ্যা ও অসত্য তথ্যের ফাঁদে পড়ে লাফ-ঝাপ করছে এক শ্রেণির তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, এদের অনেকেই জীবনে হয়তো কুমিল্লার মাটিতে পাও রাখেনি। তাইতো কুমিল্লার উন্নয়ন এদের চোখে পড়েনি। সম্প্রতি জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর প্রায় কুমিল্লা গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তন আধুনিকায়ন প্রশ্নে যেখানে কুমিল্লার গণ মানুষ তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে সেখানে প্রায় মীমাংসিত ইস্যুটিকে নেতিবাচক প্রচারণায় নিয়ে প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। স্হানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও কয়েকটি ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় মিথ্যাচার হয়েছে। অসত্য ও বানেয়াট তথ্য উপস্থাপন করে কুমিল্লা বাসীর প্রাণের নেতা জননেতা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ভাইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কয়েকদিন পূর্বে কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তন আধুনিকায়ন প্রশ্নে কুমিল্লা ও ঢাকায় বসবাসরত কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লাগে যেন কুমিল্লা বাসী উন্নয়নের ছোঁয়া না পায়- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়। ঐ মহল বিশেষ অপপ্রচার চালায় ঐতিহ্যেবাহী কুমিল্লা বীর চন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন ভেঙে কমার্শিয়াল ভবন তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায় স্হানীয় সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, অথচ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য হাজী বাহার যে ডিও লেটার দিয়েছেন তাতে সেখানে কি ধরণের আধুনিক সুযোগ- সুবিধা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন পুনঃ নির্মাণ করতে চান তার বিস্তারিত বর্ণনা বিধৃত ছিলো।জরাজীর্ণ, পুরনো ও ভঙ্গুর প্রায় মিলনায়তন টির বর্তমান যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। বিষয় টি নিয়ে ঢাকা ও কুমিল্লায় মত বিনিময় করেছেন জননেতা হাজী বাহার, জনতা তার পক্ষে রায় দিয়েছেন।সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কুমিল্লায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কুমিল্লা বাসী স্পষ্টতঃ তাদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে - তারা কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তন পুনঃ নির্মাণ করে সেখানে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কমপ্লেক্স নির্মাণ চায়- সেদিন হাজার হাজার কুমিল্লা বাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জননেতা হাজী বাহারের নেতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আস্হা প্রদর্শন করেছে আবার। সরকারের প্রতিনিধি দলও কুমিল্লা বাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছে। বিষয়টি এখন সরকারের উর্ধতন মহল পর্যায়ে বিবেচনায় রয়েছে। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই কুমিল্লা বাসী সুসংবাদ পাবে।
কুমিল্লাবাসীর জন্য জননেতা হাজী বাহার এমপি দিনরাত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুমিল্লা সদরের এমন কোন স্হান নেই যেখানে বিগত ১২ বছরে উন্নয়নের ছাপ পড়েনি - এমপি বাহার সমতা ভিত্তিক উন্নয়ন সাধন করেছেন- বিগত ১২ বছরে তিনি যে উন্নয়নের ষ্মারক প্রতিস্থাপন করেছেন তাতে অনেকেরই গাত্র দাহ শুরু হয়ে গেছে, শুরু করেছে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা, তাঁর উন্নয়ন কে প্রশ্ন বিদ্ধ করার কৌশল নির্ধারণ। তাতেও সফলতা না পেয়ে তারা নিছক একটি বিষয় কে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। একটি রাস্তাকে প্রশস্ত করতে গিয়ে মাত্র কয়েক ফুট পাহাড় কাটা পড়ায় সমস্ত দোষ তার উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের চাহিদাপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে যথারীতি সম্পন্ন করার পথে পাহাড়ের কিছু অংশ কাটতে বাধ্য হয়- যাতে রাস্তা প্রশস্ত হয়,সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। অতীতে নানা কারনে পাহাড় কাটা হয়েছে। জনচলাচল, পরিবহন চলাচল, বিশ্ববিদ্যালয় / বিদ্যালয় নির্মান,পার্ক,বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণেও অবাধে পাহাড় কাটা পড়েছে- জনকল্যাণেই পাহাড় কাটতে হয়েছে- সম্প্রতি কুমিল্লার দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেও বৃহত্তর প্রয়োজনে মাত্র কয়েক ফুট পাহাড় কাটতে হয়েছে- আর তাতেই এতো গা- জ্বলা।কারন একটাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি স্হানীয় সংসদ সদস্য হাজী বাহারের ঘনিষ্ঠ। কয়েকটি মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য কে বিকৃত করে,আংশিক ও খন্ডিত বক্তব্য প্রচার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। স্হানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর মতামত না নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে রিপোর্ট করা হয়েছে, অথচ স্হানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর বক্তব্য নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ও শিষ্টাচার রয়েছে- এ' ক্ষেত্রে যা করা হয়নি। অযোচিত ভাবে কেবলমাত্র তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই কতিপয় মিডিয়া কে নগ্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি যা বলেননি বা করেননি তাই প্রচার করে তাঁর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি নষএ ও কুমিল্লার উন্নয়ন কে বাঁধা গ্রস্ত করার হীনচেষ্টা করা হচ্ছে।
কুমিল্লার মানুষ কখনও অযাচিত দালালি মানবেনা, কোন ষড়যন্ত্র ই সফল হতে দেবেনা। কুমিল্লাবাসীর নিজস্ব অধিকার রয়েছে কুমিল্লার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কুমিল্লা বাসী তাদের প্রাণের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রক্ত দিবে, তবুও কুমিল্লার উন্নয়নের প্রশ্নে কোন ধরনের আপোষ করবেনা।
লেখক: গাজী এমদাদ, সাংবাদিক, কলামলেখক ও গবেষক