প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার, বায়োএনটেকের কোভিড টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। বাংলাদেশি অনেকেই ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছেন টিকা। তারা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন।
করোনার ভয়াল থাবায় পুরো বিশ্ব যখন টালমাটাল, তখন আশার আলো নিয়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় বিখ্যাত ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাইজার। ব্রিটিশ সরকার প্রাথমিকভাবে চার কোটি টিকার জন্য চাহিদা দেয়, জনপ্রতি দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে। পাবেন দুই কোটি মানুষ।
করোনার সঙ্গে যুদ্ধে সম্মুখে থেকে লড়াই করে যাওয়া বাংলাদেশি অনেক চিকিৎসক এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদেরই একজন ডা. বিশ্বজিত রায়। ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার ফলে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিত রায় বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আমাদের ১৫ মিনিট অত্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না তা দেখার জন্য। যখন বাসায় চলে আসি তখন আমাদের বলে দেওয়া থাকে, কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন জরুরি বিভাগকে অবহিত করি।
চিকিৎসক ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরতরাও এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশি হিসেবে ভ্যাকসিন নিতে পেরে বেশ গর্ববোধ করছেন অনেকে।
যুক্তরাজ্যের ক্যানফোর্ড হেলথকেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মী সৈয়দ নাসিমুল মুইন জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে আমার তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। সাধারণত আমরা ভাইরাসের যে ভ্যাকসিন নিয়ে থাকি, যেগুলোতে হাতে একটু ব্যথা হয়, সেই যন্ত্রণাটুকু আছে। সেটা মারাত্মক কিছু নয়।
কিংস কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, সরকার চেয়েছে যারা স্বাস্থ্যকর্মী আছে তারা যেন তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে চলতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যেতে পারে।
সব বাধা পেরিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে পুরো ব্রিটেনবাসীর জন্য ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে বলে জানায় ব্রিটিশ সরকার।