প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মরহুম এম এ হাশেমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বাদ জুমআ জানাজা শেষে তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় মরহুমের ছেলেসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
এর আগে বাদ জুমা গুলশান আজাদ মসজিদে এম এ হাশেমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় পরিবারের স্বজনরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গত ১১ ডিসেম্বর এম এ হাশেমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার দিবাগত রাতে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুকালে মরহুম এমএ হাশেমের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, পাঁচ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন এমএ হাশেম।
অর্ধশতক আগে তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করা হাশেম গত পাঁচ দশকে তার বাণিজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন আবাসন, আমদানি-রপ্তানি, পার্টিকেল বোর্ড, ইস্পাত, প্লাস্টিক, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন খাতে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হাসেম এক সময় সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। জনতা ইনসুরেন্স কোম্পানিও তিনি গড়ে তোলেন।
ব্যবসায়ী হাশেম ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সরকারের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা চলে যায় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। আরও অনেক ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদের মতো হাশেমও তখন গ্রেপ্তার হন। পরে মুক্তি পেলেও তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।