প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৫.১২.২০২০ ১:২৪ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের
সরকারি-বেসরকারি সব স্তরের বিশিষ্টজনদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে টিআরপি
নির্ধারণে একটি কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান,
টিআরপির ক্ষেত্রে বিরাট একটা অস্পষ্টতা আছে, কারা কখন টিআরপিতে ওপরে উঠে
যায়। অনেক সময় দেখা যায় একটা টেলিভিশন মানুষ দেখে না কিন্তু তারা টিআরপিতে
অনেক উপরে, এ রকম অনেক ঘটনাও ঘটে।
হাছান মাহমুদ জানান, বিভিন্ন দেশে
কীভাবে টিআরপি নির্ধারণ করা হয় তা পর্যালোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি এ
সংক্রান্ত আইনগুলোও পর্যালোচনা করা হয়েছে। টিআরপি কীভাবে নির্ধারিত হবে
সেই কৌশল প্রণয়নের জন্য আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে
দেব। সেই কমিটি নির্ধারণ করবে কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে। হাছান বলেন,
টিআরপির ক্ষেত্রে নানা ধরনের অসংগতি লক্ষ্য করা যায় এবং কীভাবে টিআরপি
নির্ধারণ হয় তা নিয়েও অনেকে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সুতরাং এই প্রশ্নের
নিরসন হওয়া প্রয়োজন এবং কোনো একটি প্রাইভেট সংস্থা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া
টিআরপি দেওয়ার কোনো এখতিয়ার রাখে না। এটি নিয়মনীতির মধ্যে আসা প্রয়োজন।
কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে সরকার এবং বেসরকারি অংশীজনরা মিলে সেই কৌশল
নির্ধারণ করা হবে।
বিদেশি কলাকুশলীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা দেশীয়
গণমাধ্যমে প্রচার করতে চাইলে মোটা অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হবে বলে তথ্যমন্ত্রী
জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে অন্য দেশের শিল্পীদের দিয়ে
বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা বাংলাদেশে প্রচার করা হয়, মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিগুলো এগুলো করে। এতে যেটি ঘটছে তাতে আমাদের দেশে যারা বিজ্ঞাপন
নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা, যারা
বিজ্ঞাপন চিত্রে অংশগ্রহণ করেন, তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, দেশের শিল্প বঞ্চিত
হচ্ছে, দেশ থেকে টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, একইসঙ্গে গণমাধ্যমগুলো বঞ্চিত
হচ্ছে। হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি কলাকুশলী দিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে
বিজ্ঞাপন তৈরি হতেই পারে। আর ও বিষয়ে তাদেরকে এনবিআরের নির্ধারিত মোটা
অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হবে। আমরা এনবিআরকে এই বিষয়ে পত্র দিয়ে জানিয়ে এ
সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারি করবো।