আগামী ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। দিনটিকে কালো দিবস আখ্যায়িত করে পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিলসহ সারা দেশে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল বৃহস্পতিবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে পুনঃক্ষমতাসীন হয়েছে। অবৈধ এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতাসীন রয়েছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পদত্যাগ না করলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অবৈধ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে কালো পতাকা হাতে রাজপথে নেমে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। সেইসঙ্গে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮’র ভোট ডাকাতির নির্বাচন আয়োজক ‘নির্বাচন কমিশন’কে পদত্যাগের আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে তবে রাষ্ট্রপতির কর্তব্য হবে তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ‘নির্বাচন কমিশন’কে বরখাস্ত করা।
৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক যারা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের তীব্র নিন্দা জানান। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) মানস নন্দী, গণসংহতির মনির উদ্দিন পাপ্পু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সিরাজুম মুনীর, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।