গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ অভিযান বিকাশ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৫৯ পিএম আপডেট: ২৫.১২.২০২০ ১:২৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. শিমুল মিয়া (২৯), মো. শাহিন মাতুব্বর (২৮) ও এমডি মহিদুল (২৬)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা যায় মো. আ. আহাদ পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসীম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, এ চক্রের সদস্যরা প্রধানত চারটি দলে ভাগ হয়ে প্রতারণা কার্যক্রম চালায়। প্রথম গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে অবস্থান করে দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে আগে লেনদেন হওয়া বিকাশ খাতার ছবি তুলে নেয়। পরবর্তী সময়ে ওই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে স্থান উল্লেখ করে পাঠিয়ে দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ পাঠানো ছবি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ দোকানদার সেজে কল করে এবং জানতে চায় যে, তাদের কাছে পাঠানো টাকা তারা পেয়েছেন কিনা এবং ক্যাশ আউট করেছেন কিনা। যদি বলে পেয়েছি কিন্তু টাকা তুলিনি বা ক্যাশ আউট করেনি তখন প্রতারকরা কৌশলের আশ্রয় নেয়। প্রতারণার ছলে বলতে থাকে, ‘আমার দোকান হতে একই সময়ে কয়েকটি নম্বরে পাঠানো টাকা নিয়ে অভিযোগ আসায় তাদের নম্বর লক করতে গিয়ে আপনার নম্বরও লক হয়ে গেছে। আপনাকে বিকাশ অফিস হতে ফোন করে আনলক করে দেবে।’
অল্প সময়ের ব্যবধানে তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস অফিসার পরিচয় দিয়ে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোনিং করে ফোন দেয়। ফোন করে বিভিন্ন কথার ছলে ওটিপি এবং বিকাশ পিনকোড নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্র গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ও আনলক করার কথা বলে ভিকটিমের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। এভাবে হাতিয়ে নেওয়া টাকা মাঠ পর্যায়ে থাকা সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ গ্রুপের নিকট পাঠানো হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার আহাদ আরও বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের ম্যানেজার অথবা এজেন্ট সেজে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। যারা বিভিন্ন হাত বদল করে ক্যাশ আউট করে, ফলে প্রতারকদের অবস্থান শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।