প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৫.১২.২০২০ ১:১৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের করা কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ, তাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনাররা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা একথা বলেন। তিনি এরপর কমিশনের বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসাইন, কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর। তবে উপস্থিত ছিলেন না, অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি নূরুল হুদা জানান, সম্প্রতি দেশের ৪২ নাগরিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাদের হাতেও এই অভিযোগের খবর পৌঁছেছে। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট করতে আজকের এই সভা। সিইসি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনায় ১৫ জন বিশেষ বক্তার জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দই ছিল না। ফলে, প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কমিশন গত তিন বছরে প্রাধিকারভুক্ত গাড়িই পায়নি। যে গাড়ি ব্যবহার করছে, সেটি কমিশন কার্যালয়ে ব্যবহৃত হতো। কর্মচারী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় এবং ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করা হয়। একইভাবে বিভিন্ন নির্বাচনে অসদাচরণ ও অনিয়ম নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের আনা অভিযোগও নাকচ করে দিয়েছে কমিশন। এ ব্যাপারে সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কূটনীতিকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও কোনো অভিযোগ করেনি। আর স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। সিইসি দাবি করেন, সবগুলো নির্বাচন তুমুল প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ইলেকশনে ভোট পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতি আসনে বা পদে প্রার্থী ছিল ২ থেকে ৮ জন। তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে, এ কথা বলা আসলেই সমচীন নয়।