প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৫.১২.২০২০ ১:১৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
আজ বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দুই হাজার বছর আগে ২৬ ডিসেম্বর খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ইসরায়েলের বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনটি সবচেয়ে আনন্দের। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটে বলে খ্রিস্ট ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস। ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে যিশুর জন্মদিনটিকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করেন। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ধর্মীয় আচার, উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও দিনটি উদযাপন করেন। এই উপলক্ষে তারা বাড়ি ঘর নানা রঙে সাজিয়ে তুলেন। রাজধানীর নামী হোটেলগুলোতে করা হয় চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- একজন নারীর প্রয়োজন ছিল ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য। কুমারী মেরিই সেই নারী, মা মেরি নামে যাকে ডাকা হয়। ‘ঈশ্বরের আগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ কুমারী হওয়া সত্ত্বেও মা মেরি গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, বাংলায় বলা হয় ‘যিশু’। কোনো সাধারণ শিশু ছিল না এই শিশুটি। মানবজাতির মুক্তির জন্য ঈশ্বর তাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন। বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনায় সেই শিশুটি।
বড় দিন উপলক্ষে আজ শুক্রবার সরকারি ছুটি। রাজধানীসহ দেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে জমকালোভাবে। রাজধানীর হোটেলগুলোতেও সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি এবং আলোকসজ্জায় বড় দিনের বিশেষ আয়োজন রাখা হয়েছে। গত রাতে গির্জায় ছিল বিশেষ প্রার্থনা। আজ সকাল থেকেও রয়েছে বড় দিনের প্রার্থনা। দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের কেক ও পিঠা, রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি রয়েছে ধর্মীয় গানের আসর। এদিকে, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। উৎসবের আনন্দে যেনো কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। ---শুভেচ্ছা--- বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ভোরের পাতার আন্তরিক শুভেচ্ছা -সম্পাদক