প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শুধু বাংলাদেশিদের জন্য সাশ্রয়ী দামে মোটরসাইকেল বানাল হোন্ডা। বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষ ধরনের মোটরসাইকেল বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছে মোটরবাইক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হোন্ডার কারখানায় উৎপাদিত ড্রিম-১১০ ব্র্যান্ডের নতুন এ মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।
হোন্ডা কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের মানুষের গড় উচ্চতা, রাস্তা-ঘাটের অবস্থা, আর্থিক সামর্থ্য ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনায় রেখে লাল, কালো ও নীল রঙের বিশেষ মোটরসাইকেল বাজারে আনা হয়েছে।
হোন্ডা কর্তৃপক্ষ আরো বলছে, ড্রিম-১১০ মডেলের মোটরসাইকেলটি প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৭৪ কিলোমিটার চলবে। এ দেশের মানুষ জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল বেশি পছন্দ করে। একই সঙ্গে কম দামে ভালো মোটরসাইকেল পেতে চান বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রেমীরা। গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে মোটরসাইকেলটির দাম ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ড্রিম-১১০ মডেল মানের দাম ছিল প্রায় দেড় লাখ টাকা। শুধুমাত্র নিজস্ব কারখানায় মোটরসাইকেলটি উৎপাদন করায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা হ্রাস পেয়েছে।
কোম্পানিটির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মোটরসাইকেলটি উৎপাদনের আগে জাপান, ভারত ও বাংলাদেশ হোন্ডার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ (আরঅ্যান্ডডি) জরিপ চালিয়ে বাংলাদেশের বাইক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য নিয়েই বিশেষ মোটরসাইকেলটি উৎপাদন করা হয়েছে। এই মোটরসাইকেল দেশের সব ধরনের পথে চলাচলের উপযোগী।
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিমিহিকো কাতসুকি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে সবচেয়ে ভালো মানের পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে হোন্ডা বাংলাদেশের সমাজের প্রতি অবদান রাখবে। একই সঙ্গে মানুষকে আনন্দ ও যাতায়াতের স্বাধীনতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ঢাকার গাজীপুরে ভাড়া কারখানায় হোন্ডা সিকেডি মোটরসাইকেল সংযোজন শুরু করলেও প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে গজারিয়ায় নিজস্ব কারখানা স্থাপন করে।