বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০১৯-২০২১ মেয়াদে সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ ২৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ৪৫ সদস্যবিশিষ্ট এই উপ-কমিটির অনুমোদন দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠামণ্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট নাট্যনির্দেশক মঞ্চসারথী আতাউর রহমানকে চেয়ারম্যান করে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জননেতা অসীম কুমার উকিল এমপি-কে সদস্য সচিব করে এই উপ-কমিটি গঠিত হয়েছে।
২০১৬-২০১৯ মেয়াদ থেকে বিভাগীয় উপ-কমিটি গঠনের রেওয়াজ শুরু হয়। বিগত কমিটিতেও মঞ্চসারথী আতাউর রহমান ও অসীম কুমার উকিল যথাক্রমে চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এবারও এই উপ-কমিটির নেতৃত্ব দিবেন এই দুজন নেতা।
আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দকে প্রাধান্য দিয়ে এবার এই উপ-কমিটি গঠিত হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সিক্ত, জাতির পিতার আদর্শে দীক্ষিত ও বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে অবিচল দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এই উপ-কমিটির মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে রাজনীতির সঙ্গে যৌথবাস নিশ্চিত করতে এই উপ-কমিটি কাজ করবে।
মঞ্চসারথী আতাউর রহমান ও অসীম কুমার উকিলের নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বঙ্গতাজ কন্যা সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বর্তমান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য স্বনামধন্য অভিনেতা তারানা হালিম, ড. মযহারুল ইসলামের পুত্র সাবেক সাংসদ, সাবেক যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চয়ন ইসলাম, মাছরাঙা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, দৈনিক সংবাদ সম্পাদক আলতামাস কবির মিশু, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, অভিনেতা জায়েদ খান, অভিনেতা হারুনুর রশিদ, অভিনেতা এহসানুল হক মিনু, সঙ্গীতশিল্পী রফিকুল আলম, সঙ্গীতশিল্পী শুভ্র দেব প্রমুখের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি মো: মোজাম্মেল হক সহ মো: তাহসিন আজিম সিজান,অনিমেষ চক্রবর্তী, মুহম্মদ আসিফ ইকবাল, পদ্মাবতী দেবী, তৃনা মজুমদার, মো: আবু তালহা, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী রানা, জাহেদুর রহমান সোহেল, প্রকৌশলী রতন দত্ত এই উপ-কমিটির সদস্য হয়েছেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা সুজন, সাবেক ডাকসু নেতা মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, চারুকলা অনুষদের সাবেক নেতা সুব্রত চন্দ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক নুরুল আলম পাঠান মিলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশিকুর রহমান রন, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চন্দ্র বসু, ঢাবি’র মুহসিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল আজম বাসার, চারুকলা অনুষদের সাবেক নেতা সঞ্জীব দাস অপু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসলাম হোসেন শিহির, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনজাম মাসুদ, সাঈদ বাবু, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ড. শাহাদাত হোসেন নিপু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাহেরুল হাসান শিবলী, নব্বইয়ের দশকের ছাত্রনেতা জয়ন্ত আচার্য্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক ফাহাদ ইউসুফ হোসেন প্রমিত, আশির দশকের ছাত্রনেতা মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক গোলাম বাকী চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা চৌধুরী রুশী প্রমুখ এই উপ-কমিটির সদস্য হয়েছেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে যাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, কমিটিতে রাখার ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
উপ-কমিটি প্রসঙ্গে সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি বলেন, রাজনীতি ও সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন পথে হাত ধরে পথ চলে। সুস্থ সংস্কৃতিবোধ-ই রাজনীতিকে চালিত করে প্রগতির পথে। সেই লক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন শাখার দক্ষ ও পরীক্ষিত ব্যক্তিদেরকে নিয়ে উপ-কমিটি গঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ও নির্দেশে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে নিষ্কণ্টক রাখতে আমরা কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।