"এই ভাইরাসটির বিস্ফোরকের মতো সংক্রমণের বিস্ময়কর রিপোর্ট রয়েছে এবং এর সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি হারও অত্যধিক।"
ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে মি. হ্যানকক বলেন, নতুন ভ্যারিয়ান্টটি "খুবই উদ্বেগজনক" এবং যাদের কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের "অন্য যেকোন ব্যক্তির সাথে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।"
একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন যে, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে লাখ লাখ মানুষকে ক্রিসমাসের পরের দিন বা বক্সিং ডে থেকেই চতুর্থ পর্যায় বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধি-নিষেধের আওতায় আনা হবে।
ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ডা. সুসান হপকিন্স বলেন, "দুটি ভাইরাসই মনে হচ্ছে যে তারা অত্যন্ত সংক্রমণশীল।" কিন্তু তিনি বলেন যে, তারা এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে আসা ভাইরাসটির ভ্যারিয়ান্ট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, তিনি "বেশ নিশ্চিত" যে কোয়ারেন্টিন এবং ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়ান্টটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব।
ওয়ারউইক মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক লরেন্স ইয়াং বলেন: "সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে যে বিধি-নিষেধ (হাত, মুখ, অন্যান্য স্থান বিষয়ক) রয়েছে তা নতুন ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়াও ঠেকাবে।"
"দেশ জুড়ে বিধি নিষেধ আরো কঠোর করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।"
দক্ষিণ আফ্রিকায় কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে?
বিবিসি নিউজের ফারুক চোথিয়া তার ব্যাখ্যায় বলেন, উৎসবের মৌসুমেও সরকার বিধি-নিষেধ কঠোর করেছে। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের বিখ্যাত গার্ডেন রুট সৈকত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স নামে একটি বিরোধীদল এবং কয়েকটি লবি গ্রুপ। তারা আদালতে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছেন যে, সৈকত বন্ধ করে দেয়া হলে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
কিন্তু বিচারকরা সরকারি সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছেন এবং বলেছেন যে, জনস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে সরকারের।
ওয়েস্টার্ন কেপের প্রিমিয়ার অ্যালান উইন্ডি বলেন, প্রদেশের হাসপাতালগুলো এরইমধ্যে "মারাত্মক ধকলে" পড়েছে। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায়ও প্রদেশটিতে বর্তমানে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো পর্যন্ত ৯৫ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ- যা আফ্রিকায় সর্বোচ্চ।